প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যায় ৫০ শিশু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:১১ এএম, ১৯ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৫০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৪০ শিশুর বয়স পাঁচ বছরের কম। এছাড়া পানিতে ডোবার কারণে আরো ১৩ হাজার শিশু স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে। ১ লাখ শিশু পানিতে ডোবার কারণে বিভিন্নভাবে আহত হয়। ২০১৬ সালে দ্য সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বা সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআরবি পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ডেইলি স্টার ভবন মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি আয়োজিত সাংবাদিকদের এক অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য ওঠে আসে। সভার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল হেল্থ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর।
সভায় জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধকে বৈশ্বিকভাবে এসডিজির অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পানিতে ডুবে মৃত্যুকে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ফলে অসুস্থতাজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হলেও পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার প্রতিরোধে কর্মসূচি গ্রহণ না করা হলে সার্বিকভাবে শিশুমৃত্যুর উচ্চহার থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের ২০ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম। বাংলাদেশে এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশের জন্য দায়ী পানিতে ডুবে যাওয়া।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পরিচালক ড. আমিনুর রহমান জানান, এত শিশুর মৃত্যু সত্ত্বেও বিষয়টি পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অগ্রাধিকার তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলে এ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে বা জাতীয়ভাবে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। দারিদ্র্য, অসচেতনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের অভাবের কারণে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, দিনের প্রথমভাগে শিশুদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হলে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে গ্রামভিত্তিক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সফলভাবে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে কার্যকর। অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করেন সমষ্টির পরিচালক মীর মাসরুর জামান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি লিড রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ।