স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট মিলছে দোকানে, দাম ৩০ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ৮ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ ও জমা দেবে।
কিন্তু সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাতেম হাসিল ভাতহাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন তালুকদার অ্যাসাইনমেন্ট বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০ টাকা দিয়ে বাজারের কম্পিউটারের দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাতহাড়িয়া বাজারে একটি দোকানের সামনে শত শত শিক্ষার্থীর ভিড়। কম্পিউটারের দোকান থেকে কেন অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা শামীম স্যারের নির্দেশে এখান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করছি। একেকটি অ্যাসাইমেন্টের দাম ৩০ টাকা।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন তালুকদার প্রথমে সকল অভিযোগ অস্বীকার করলেও শিক্ষার্থীদের ভিডিও বক্তব্য ধারণ করা আছে বললে তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।
প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন মল্লিক বলেন, আজ ৫ নভেম্বর আমার শেষ কর্মদিবস। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে শামীম হোসেন তালুকদারকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলে অ্যাসাইমেন্টের বিষয়টা তিনি দেখছেন। তিনিই সবকিছু বলতে পারবেন।
কয়েকজন অভিভাবক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শামীম হোসেন তালুকদার প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যেভাবে স্বেচ্ছাচারী হয়েছেন, দায়িত্ব নেয়ার পর কী করবেন তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি নির্দেশনা দিয়েছি নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ করতে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানকে খরচও বহন করতে বলা হয়েছে। যেহেতু তিনি নির্দেশনা অমান্য করেছেন সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।