১৫ বছর ধরে জাল সনদে ব্যাংকে চাকরির অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
রাজশাহীতে অবৈধ নিয়োগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সমবায় ব্যাংকে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠেছে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম মাহমুদ হোসেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাত করে কম্পিউটার অপারেটর থেকে হিসাবরক্ষক এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েছেন। মাহমুদ হোসেন নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা আ. সাত্তার প্রামাণিকের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাহমুদ হোসেন যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে চাকরি করছেন তার সবগুলোই জাল। তার এসএসসি, এইচএসসি এবং মাস্টার্সের সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে তা জাল হিসেবে শনাক্ত করেছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী ও চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ। সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই সার্টিফিকেটে যে নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভুয়া।
চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী বলেন, 'আমরা সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, মাহমুদ হোসেন নামে কোনও শিক্ষার্থীকে কলেজ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ওই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া।'
সনদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, ২০০৭ সালে জাল সনদের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি নেন। সে সময় নিয়োগ কমিটির প্রধান ছিলেন তার এক আত্মীয়। এরপর বিভিন্ন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহায়তায় হিসাবরক্ষক ও পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েছেন। এর আগে একটি অভিযোগে ব্যাংক থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ হোসেন বলেন, 'এসব তথ্য সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে।' এ ব্যাপারে সমবায় ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর সভাপতি মো. সোলাইমান বলেন, 'এরকম কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'