মা জানেন না ছেলের ফাঁসি আজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জুলাই,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ৪ নম্বর আসামি ডক্টর মহিউদ্দিনের ফাঁসি আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু মহিউদ্দিনের ফাঁসির খবর মাকে জানাননি পরিবারের সদস্যরা।
ডক্টর মহিউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে। সে অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন শোকে পাথর হয়ে বসে আছেন। তার ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা সেতারা বেগমে চোখে তেমন দেখেন না। কানে শোনেন না। তিনি এখনও জানেন না, তার ছেলের আজ ফাঁসি হবে। পরিবারের কেউ তাকে কিছু বুঝতে দিচ্ছেন না। তার বাড়িতে কোনো সংবাদকর্মী বা কোনো আত্মীয় স্বজন দেখলেই তিনি জানতে চান কি জন্য এসেছেন আপনারা। হয়তো মা খবর শুনলে হার্ড এটাক করতে পারেন এ জন্যই তাকে কিছুই জানানো হচ্ছে না বলে জানান তার ছেলে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা কারাগারে মহিউদ্দিনের সঙ্গে শেষ দেখা করেন পরিবারের লোকজন। দুপুরে পরিবারের সদস্যরা লাশ আনতে রাজশাহী রওনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অধ্যাপক এস তাহের খুন হন। ম্যানহোল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক এস তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের আত্মীয় আবদুস সালামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য দুই আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সীকে খালাস দেন আদালত। আপিলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি নাজমুল আলম ও আবদুস সালামের সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।