avertisements 2

ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরে শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ মে,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

স্বামী স্ত্রী মিলে দিনমজুরী করে জমানো টাকা দিয়ে ৯ মাস পূর্বে দুই রুম বিশিষ্ঠ একটি আধা পাকা টিনশেড ঘর জায়গাসহ কিনে দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন আরিফুল-আলিমা দম্পতি।

গত (১৭ মে) রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে সেই ঘরটি ভেঙে পড়েছে। টানা ছয়দিন যাবৎ বিধ্বস্ত ঘর ও চালার ওপর পড়ে থাকা গাছের নিচেই ঝুঁকিপুর্নভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী গ্রামে তাদের বসবাস। ভেঙে যাওয়া ঘরটি মেরামত করার আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় ঝুঁকিপুর্ন ভাবে শিশু সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এই দম্পতিকে।

আলিমা খাতুন জানান,‘আমার স্বামী ভ্যান চালক। অনেক কষ্ট করে স্বামী স্ত্রী মিলে দিনমজুরী করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। সন্তানদের নিয়ে একটু ভাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্যে সাবগাড়ী পাকা রাস্তা সংলগ্ন দুইটি রুমসহ আধাপাকা একটি জায়গা কিনেছিলাম। নিজেদের জমানো টাকা এবং সমিতি থেকে ঋণ করে এই ঘর কিনেছিলাম। গত ৬দিন আগে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের ঘর গুলো বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। এছাড়াও বড় বড় গাছ ঘরের চালার ওপরে পরে আছে। সরকারী গাছ হওয়ার কারনে নিজেরাও কাটতে পারছিনা।

অভাব অনটনের সংসারে ভ্যান চালক স্বামীর আয় করা টাকায় দুই শিশু সন্তানের খাবারসহ সংসারের খরচ মেটাতে হয়। আর এই বিপদ মুহুর্তে ঘরের এই অবস্থা। নিরুপায় হয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে সহযোগিতার আবেদন করলে ৩০ কেজি খাবার চাল দিয়েছে। আপাতত স্বামী সন্তান নিয়ে খেতে পারবো কিন্তু ঘরের চালা নেই। সন্তানদের নিয়ে বসবাস করা খুবি বিপদ হয়ে গেছে। আনুমানিক ১ লাখ টাকা হলে এই বিধ্বস্ত ঘর গুলো সংস্কার করতে পারবো। নিজেদের পক্ষে এই ঘর সংস্কার করা সম্ভব নয়।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল হান্নান বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারটির কাছ থেকে একটি আবেদন নেওয়া হয়। সোমবার (২২ মে) আলিমা খাতুনকে ডেকে ৩০ কেজি খাবার চাউল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টিন ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2