avertisements 2

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন

সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ‘কপাল খুলছে’ সেই সাত্তারের!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। এতে কপাল ‍খুলেছে দল থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।

এই নির্বাচনে বর্তমানে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞাসহ পাঁচজন প্রার্থী আছেন।

জানা যায়, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রার্থীদের এক বৈঠকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হওয়া সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারসহ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে নেতৃবৃন্দের অনুরোধে আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি জমা দেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মঈনউদ্দিন মঈন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু সশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এসময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জিয়াউল হক মীর ও জেলা নিবাচন কমকতা জিয়াউল হক মীর মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র গ্রহণ করেন।


জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার দলের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না।

সূত্র জানায়, মূলত আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সরে যাওয়া। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আব্দুস সাত্তার কিংবা অন্য প্রার্থী জয়ী হলে সেক্ষেত্রে দলীয় কৌশল বাস্তবায়ন হবে, যেটি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের পর ওই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি। সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগের জোয়ার তখনও (২০১৮) জোটের মারপ্যাঁচে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় সেখানে নিজেদের প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া জয়লাভ করেন, যিনি পাঁচবারের সংসদ সদস্য।ব্যক্তিগত ও এলাকায় দলীয় অবস্থান বিবেচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে সামান্য ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন মঈন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগের ওই নেতা হেরে যান বলে মনে করা হয়।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2