‘লোডশেডিং নাকি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাহলে এখন কী হচ্ছে’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাকি লোডশেডিং বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাহলে এখন কী হচ্ছে। দেশে সামনের বছর দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করুন। আর না হয় স্বৈরচারী সরকারকে দেশের জনগণ টেনে হিঁচড়ে নামাবে।’ আজ শনিবার বিকেলে খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কারণে আরও বেশি সফল হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে যখন হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে, তখন কোথায় ছিল আওয়ামী লীগ। সেসময় জিয়াউর রহমান দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘খুলনায় মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে এই সরকারকে জনগণ আর চায় না। বিএনপি খুলনা বিভাগে যে গণসমাবেশ ডেকেছে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারে যেমন যতদূর দৃষ্টি যায়, পানি দেখা যায়। আজকে যতদূর দৃষ্টি যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। ভয় পেয়ে সরকার দুই দিনের হরতাল ডেকেছে। যেখানে সারাবিশ্বে বিরোধীদল সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে, সেখানে বাংলাদেশের সরকার নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হরতাল ডেকেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের খুলনা জেলার প্রতিজন নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। শত বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে তারা সমবেত হয়েছেন। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভন্ন জেলা-উপজেলার ২০০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। পথে পথে হামলা হয়েছে। এই হামলা পুলিশ ও শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী চালিয়েছে। শেখ হাসিনার এক চাচীর ছেলে হুংকার দিয়ে বলেছেন, পদ্মার এপারে বিএনপি দাঁড়াতে পারবে না। আমি শেখ হাসিনাকে বলব, উনার চাচীর বড় ছেলেকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি নাকি আমাদের নামতে দেবেন না। খুলনার বিভিন্ন রাস্তায় আমাদের নেতাকর্মীরা পাটি বিছিয়ে রাতভর রাজপথ পাহারা দিয়েছে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারের বাহিনী হানাদার বাহিনীর চেয়েও খারাপ। তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। আগের দিন আমাদের উপর বাধা আসলে আমি পুলিশ কমিশনারকে চারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মেসেজ দিয়েছি, তবু রিপ্লাই দেয়নি। আমরা হাসিনা সরকারের কাছ ক্ষমতা ভিক্ষা চাইনি, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বলেছি।’