ছাত্রলীগের পদ কোটি টাকা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের কমিটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করে আসছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরকম কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন সময় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
এ অভিযোগ মূলত ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে উঠছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কমিটির মেয়াদ না থাকায় পদ বিক্রির ব্যাপারটিতে জয়-লেখক আগের চেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন।
তিন দিন ধরে ছাত্রলীগের অন্তত এক ডজন নেতার সাথে কথা বলেছে। এর মধ্যে যারা জয়- লেখকের হয়ে অনেক শাখা কমিটির পদ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িয়েছেন তারাও রয়েছেন। এ নেতারা বলছেন, জয়- লেখকের পদবাণিজ্যের একটি চক্র রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যসহ এ চক্রের সদস্যরা আর্থিক লেনদেন করে। রাজধানীর কোন কোন জায়গায় এসব আর্থিক লেনদেন হয় সেটাও তারা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে তারা বলছেন, মহানগর, গুরুত্ব জেলা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে পদ পেতে কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। কারণ এসব এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের উন্নয়নকাজ ও শিল্পকারখানা বেশি। এ কারণে সেখানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যও হয় বেশি। এসব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্থানীয় নেতারা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হন।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য কমিশন চাওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীও পদ হারান। তাদের শুধু দায়িত্ব থেকে সরিয়েই দেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দুজনকে দানব বলেও মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করার পর জয়-লেখকের পদবাণিজ্য আলোচনায় আসে। সেখানে উন্নয়নকাজের টেন্ডার ও কমিশন বাণিজ্যের ঘটনা রয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সহসভাপতি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, পদ বেচাকেনার ঘটনা সত্য। শুধু পদপ্রত্যাশী ছাত্রনেতাদের কাছ থেকেই নয়, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও টাকা ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জয় ও লেখকের বিরুদ্ধে। এ নেতারা বলছেন, পদবাণিজ্য করে বিভিন্ন শাখার কমিটির নেতা বানানো হয় বলেই পরে ওই নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে।
গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্তত এক ডজন জেলা ও মহানগর কমিটির পদ বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে জয় ও লেখকের বিরুদ্ধে। অনেক উপজেলা কমিটিও পদ বিক্রি করতে ছাড়েন না জয়-লেখক ও তার অনুসারীরা। ঢাকার পাশে আশুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি বিক্রি করেছেন জয়-লেখক ২১ লাখ টাকায়। তবে সাধারণ জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের দাম ১০-২০ লাখ, এমনকি ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠে। সভাপতি পদ জয়ের ও সাধারণ সম্পাদক পদ লেখকের এভাবেই লেনদেন হয়ে আসছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেতারা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ বিক্রি ও গুরুত্বপূর্ণ মহানগর ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে হয়। এসব ইউনিটের দুই শীর্ষ পদের দাম কমপক্ষে ৫০ লাখ পর্যন্ত বিনিময় হয়। জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এ দুটি ইউনিটের শীর্ষ দুটি পদ কেনাবেচা হয় অন্তত ৫০ লাখ টাকা করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের নানারকম উন্নয়ন বরাদ্দ থাকে। প্রায় সারা বছরই কাজের টেন্ডার থাকে। এতে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা পায় ওই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ দুই নেতা। তাই পদ দিতেও টাকা বেশি নেওয়া হয়। শুধু পদ বিক্রিই নয়, টেন্ডার বাণিজ্যের কমিশন দিতে হবে এমন শর্তও থাকে পদ দেওয়ার সময়। কমিশনের নিশ্চয়তা পেতে জয়-লেখক একেবারেই আস্থাভাজন না হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ইউনিটের নেতা বানাতে ধীরগতি অনুসরণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ ইউনিটের পদ বিক্রি হয়েছে ১ কোটির বেশি টাকায়। রাজধানী লাগোয়া এই জেলায় ও মহানগরে গার্মেন্টস শিল্পসমৃদ্ধ হওয়ায় সেখানে কমিটিতে পদ পেতে টাকাও বেশি দিতে হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছর ৩ জানুয়ারি আখতারুজ্জামান সোহেল ও হাবীবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কমিটি ঘোষণা করেন জয়-লেখক। তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। সোহেলকে সভাপতি বানানোর দেনদরবার করেন জয়ের আপন ছোট ভাই যুব। তার হাত দিয়ে পদ বিক্রির টাকা আসে জয়ের হাতে। যুব ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। হাবীবকে নেতা বানানোর দেনদরবার করেন স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি।
এ জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে লেখকের কাছে টাকা পৌঁছে। লেনদেনের টাকা পাওয়ার পরও দুজনকে শর্ত দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উন্নয়নকাজের কমিশন অন্তত দেড় শতাংশ হারে তাদের দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের কমিশন দেওয়ার শর্তে নেতা হন দুজন। সভাপতি করা হয় ইব্রাহিম ফরাজিকে আর সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনকে। আকতার সরাসরি টাকা পৌঁছে দেন লেখকের কাছে। তার দেওয়া টাকার পরিমাণ ৩৫-৪০ লাখ। আর সভাপতি ইব্রাহিম ১০ লাখেই পদ নিতে সক্ষম হন। এখানে দুই শীর্ষ নেতার কাছ থেকে কমবেশি টাকা নেওয়ার কারণ হিসেবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ও নেতারা বলেন, ইব্রাহিমের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে হওয়ায় লেনদেনে জয় কিছুটা ছাড় দেন। জয়ের বাড়িও বরিশাল। একেবারেই আলোচনার বাইরে থাকা আকতারকে বেশি দিতে হয়। তার কাছ থেকে টাকা নেন লেখক ভট্টাচার্য। দুজনের এ আর্থিক লেনদেনে লেনদেন করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিভাগের একটি জেলার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির প্রথম ১০ জনের মধ্যে থাকা দুজন সহসভাপতি আরও বলেন, ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী জানে বড় লেনদেন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছে জয়-লেখক। কমিটির শীর্ষ দুই নেতাকে আশ্বাস দিতে হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যত উন্নয়নকাজ হবে সেগুলোর অন্তত এক থেকে দেড় শতাংশ কমিশন দিতে হবে জয়-লেখককে। শর্তে রাজি হওয়ার পরই জয়-লেখক কমিটিতে স্বাক্ষর করেন। মাত্র ছয় মাসের মাথায় ইব্রাহিম ও আকতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাসস্ট্যান্ড দখল ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন জয়-লেখক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত শাখা কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, পদ পাওয়ার পর পদ ধরে রাখতেও টাকা আয়ের রাস্তা বের করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহের কোনো একটি কমিটির জন্য সেখানকার এক প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে লেখক চাকরির তদবির ছাড়াও অন্তত নয়টি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তবুও কমিটি দিতে কালক্ষেপণ করায় জয়-লেখক পরে কাজ নিতে গেলে ওই প্রতিমন্ত্রী বলে দেন, ‘আগে কমিটি দাও, তারপর এ কাজ দেব।’ কমিটি দেওয়ার কথা বলে অন্তত সাতটি মন্ত্রণালয়ে চাকরি ও টেন্ডারের তদবির করার তথ্য পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ওই নেতারা বলেছেন, আল নাহিয়ান খান জয়ের হয়ে লেনদেন করেন তার ফুপাতো ভাই আদনান আলম বাবু ও নিজের সহোদর যুব। আবার বড় লেনদেন করেন রাজধানীর একটি থানার একজন কর্মকর্তা। এমন লেনদেনের সময় জয় ওই পুলিশ কর্মকর্তার গোপন আস্তানায় যান। অবশ্য সংগঠনের অন্য নেতাদের কাছে জয় দাবি করেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বড় ভাই। সেখানে জয়ের ভায়রা ভাই হিসেবে পরিচিত বিপ্লব হাসান পলাশও যাতায়াত করেন। পলাশের হাত দিয়ে কিছু পদবাণিজ্য হয় বলে ছাত্রলীগের ওই নেতারা দাবি করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জয়কে একটি গাড়িও উপহার দিয়েছেন এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকা কলেজের পাশে বিশ্বাস বিল্ডার্সের একটি ফ্ল্যাটেও জয়ের লেনদেন হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন জয়। নিজের বাসায় না করে একই ভবনে তার এক বন্ধুর বাসায়ও লেনদেন করেন।
ছাত্রলীগের ওই নেতারা জানান, জয়ের পক্ষে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার। আরও আছেন তানজিদুল শিমুল, রাকিব, রিয়াদ হাবিব, আমান, সাইফ বাবু ও আতিক। তারা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারা জয়কে ব্যবহার করে বিভিন্ন ইউনিটের ছোট পদ পাইয়ে দিতে টাকা নেন। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আল-আমিনকে পদ দিতে জয়ের পক্ষে ১৭ লাখ টাকা নেন তানজিদুল শিমুল।
এছাড়া আশুলিয়া থানা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত পাপ্পুকে পদ দেওয়ার জন্য জয়ের পক্ষে লেনদেন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সম্রাট। এ শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ পান তানভীর হোসেন। এর জন্য ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর জব্বার রাজের সঙ্গে ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এই টাকা লেখককে দিতে হয়। একজন প্রতিমন্ত্রী টাকার জোগান দেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা। এর প্রমাণ কি?’
তানজিদুল শিমুল বলেন, ‘আশুলিয়া থানা কমিটি তো দুই-তিন মাস আগে হয়েছে। এ অভিযোগ এখন কেন? এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বড় লেনদেনগুলো সরাসরি নিজেই করেন। ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও তার ব্যক্তিগত গাড়িতে বসেও লেনদেন হয়। তবে বেশিরভাগ লেনদেন উত্তরার লেকভিউ নামে একটি বার কাম রেস্টুরেন্টেও হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উল্টোদিকে বোরাক টাওয়ারের ছাদে লেনদেন হয়। তাছাড়া তার ইস্কাটনের নিজ বাসায়ও পদবাণিজ্যের লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ৫ লাখ টাকার ওপরে ও নিচের পরিমাণ লেনদেন হয় বর্তমান কমিটিতে থাকা তার কিছু অনুসারীদের মাধ্যমে। তাদের মধ্যে অন্যতম বেনজীর নিশি, নোমান, রাজ।
পদবাণিজ্যের ফলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখকের জীবনযাপনেও পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করেন সংগঠনের নিজের সহকর্মীরাও। জয় থাকেন ঢাকা কলেজের পাশে বিশ্বাস বিল্ডার্সের অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে। এর মাসিক ভাড়া সব মিলিয়ে ৬০-৭০ হাজার। তার একাধিক গাড়িও আছে। অন্যদিকে লেখক থাকেন ইস্কাটনের ইস্কাটন গার্ডেন নামে অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে। ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া প্রতি মাসে ৬৫ হাজার টাকার মতো পড়ে। তারও একাধিক গাড়ি আছে।
সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতার পদবাণিজ্যের বিষয়ে ছাত্রলীগ সহসভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন ছাড়া জয়-লেখক কোনো কমিটিই স্বাক্ষর করেন না। তবে লেনদেন নগদ হয় বলে আমাদের কাছে প্রমাণও থাকে না। আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। আমাদের বিব্রত হতে হয়। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’
আরেক সহসভাপতি সোহান খান বলেন, ‘জয় ও লেখক ছাত্রলীগের কর্মকা-কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও বাসানির্ভর করে ফেলেছেন। পদ কেনাবেচা, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তারা। তাদের পদবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পাই।’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান বলেন, ‘সম্মেলন ছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি করছেন বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব জয়-লেখক। আর তাই পদ বিক্রির অভিযোগ সবার মুখে মুখে।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাংগঠনিক স্থবিরতা, অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, মাদকাসক্ত ও আর্থিক লেনদেনে এমন নানা অভিযোগ জোরালোভাবে রয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি একজন বলেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা লাভজনক। নগদ টাকা যখন বাসায় চলে আসে তখন জয় ও লেখক কমিটি তৈরি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার মূল রহস্যই হলো লেনদেনের নিশ্চয়তা।