বেগুনের সমাধান ছিল মিষ্টি কুমড়া, এবার তেলের সমাধান কী?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ মে,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রায় ১৫ মাসে ৯ বার ও তিন মাসের মাথায় আবারও ভোজ্য তেলের দাম এক লাফে ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে হঠাৎ করে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, গত বছর জানুয়ারি মাসে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছিল ১১৫ টাকায়। মাত্র ১৫ মাসের ব্যবধানে সেই তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮৩ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ১৫ মাসে দাম বেড়েছে ৭২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ ভোজ্য তেলের মূল্য দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা সাত কোটিসহ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে হাতে গোনা কিছু ব্যবসায়ীকে লাভবান করতে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অমানবিক।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বেগুনের মূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশবাসীকে মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি খাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার সরকারের পক্ষ থেকে ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে ভর্তুকি না দিয়ে মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে তিনি কি সাধারণ মানুষকে পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেবেন?
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, এভাবে বাজেটের আগে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। তাই অবিলম্বে ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।