ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ চলছে : আ স ম রব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আজ ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ চলছে। এ সরকার গরিব-দুঃখিদের দেখে না। যখন দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা তখন তারা আতশবাজি করে, বেলুন ফুটায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ভাসানী অনুসারি পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আ স ম রব বলেন, সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। তারপরও সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। এঅবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। জনগণ এবার ফোঁসে উঠবে। তাই সরকারকে বলি এখনো সময় আছে ঠিক করুন সম্মানের সঙ্গে না কীভাবে ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন। গরিব, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষদের ন্যায্যমূল্যে ভাত দেন, রুটি দেন নইলে গদি ছেড়ে দেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের সব কাজই দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সার্বিক কী অবস্থা বিরাজ করছে, তা জনগণ দেখছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের কি অবস্থা হবে তা আপনাদের জানা আছে।
নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ জনগণকে তোয়াক্কা করে না। অন্যদিকে, এক মন্ত্রী বলেন, দাম বাড়লে কি হয়েছে, সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে। তাই সাধারণ মানুষের উচিত এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে হরতাল করা।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, দেশের বর্তমান যে অবস্থা এতে করে আমাদের সবাই মিলে দেশকে বাঁচাতে হবে, এ সরকারকে হটাতে হবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু বলতে হচ্ছে এমন দেশের জন্য যুদ্ধ করিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৫ টাকার জিনিস ৫০ টাকা হয়ে যায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে এর মাধ্যমে সরাসরি জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যে যত বাড়ে ভ্যাট ট্যাক্স তত বাড়ে, সরকারের কোষাগারে টাকা জমা হয়। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতে সুবিধা হয়। সরকারের লোকও নিজেদের পকেট ভরতে পারে। এসব অন্যায় অবিচার বর্তমান সরকার চালাতে পারছে, তার কারণ জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।
গণজমায়েত ও সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এসময় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তার হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।