avertisements 2

‘নিক্সন দোষী সাব্যস্ত হলে ৫-৭ বছর সাজার সুযোগ আছে’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৩৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) কী শাস্তি হবে তা আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি বিধিতে সর্বোচ্চ পাঁচ/সাত বছরের সাজা ও আর্থিক দণ্ডের বিধান রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।

চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা ও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানায় রিটার্নিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম নিক্সনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

ইসি সচিব আলমগীর জানান, প্রশাসনকে হুমকি দেওয়া, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাজে বাধা দেওয়া এবং যে সময়ের মধ্যে বিজয় মিছিল করা, বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচনি এলাকায় যেতে পারবেন না, তার সবই তিনি ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে কমিশন মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং রিটার্নিং অফিসার মামলা দায়ের করেছেন।

কোন কোন বিধির আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা মামলার ক্ষেত্রে কোনও ধারার কথা বলে দেইনি। যেটা বলেছি নির্বাচনি যে আচরণবিধি আছে, সেখানে বলা আছে—গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে ও পরে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওই এলাকায় যেতে পারবেন না। কোনও নির্বাচনি প্রচারণা বা কোনও উৎসবে যোগ দিতে পারবেন না। বিজয় মিছিল করতে পারবেন না। শুধু ভোটার হলে সেক্ষেত্রে কেবল ভোট দিতে যেতে পারবেন। কমিশন দেখেছে, ওই সময়টা পার হওয়ার আগে সেখানে বিজয় মিছিল হয়েছে। নির্বাচনে কেন বেশি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি (নিক্সন চৌধুরী) তার জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসককে নিয়ে কথা বলেছেন, যেটা আইন অনুযায়ী উনার বলার কথা নয়। এছাড়া তিনি ফরিদপুর জেলা প্রশাসককে টেলিফোন করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। হুমকি দিয়েছেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে—জালভোট প্রদানকারী এক ব্যক্তিকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার কারণে স্থানীয়  সংসদ সদস্য ক্ষুব্ধ হন এবং এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করে ইউএনওকে ফোন দেন। এসব ঘটনাসহ নির্বাচন বিধিমালা পরিপন্থী যেসব বিষয় রযেছে, কমিশন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে। নির্বাচনের সঙ্গে যেসব বিষয় সংশ্লিষ্ট এবং আচরণবিধির বিপরীত তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’

বিজয় মিছিল করতে তো অনেক লোক লাগে, সেক্ষেত্রে একজনের বিরুদ্ধে মামলা কেন জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক যে রিপোর্ট এসেছে তাতে উনার নামই এসেছে। আর নির্বাচনি কর্মকর্তারা তাদের চেনেনও না। যেহেতু অভিযোগ একজনের বিরুদ্ধে, তার জন্য একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কমিশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির রিপোর্ট এলে এর সঙ্গে আর কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কিনা তা জানা যাবে। তদন্তের পর পুরো বিষয়টি উঠে এলে কমিশন আবারও পর্যালোচনা করবে। সেক্ষেত্রে কমিশন যেটা ভালো মনে করে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’

দোষী প্রমাণ হলে কোন ধরনের সাজা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা নির্ধারণ করবেন  আদালত। তবে ওই ধারাগুলোতে যে সাজার কথা বলা আছে, তাতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছর, আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা হতে পারে বা আর্থিক জরিমানা হতে পারে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2