avertisements 2

মওদুদ আহমদকে মেরে ফেলা হয়েছে, অভিযোগ দাবি স্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ। এমনকি মওদুদ যে আসনে নির্বাচন করেছেন, সে আসন খালি থাকতে দেবেন না বলে জানান তিনি। হাসনা মওদুদ বলেন, তিনি (মওদুদ) করোনায় মারা যাননি। তার অসুখ ধরা যায়নি। আমি শুনেছি, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমাকেও হয়তো কেউ মেরে ফেলবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রয়াত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্মৃতি পরিষদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

হাসনা মওদুদ বলেন, মওদুদ সাহেবের শ‚ন্য স্থান আমি শ‚ন্য হতে দেব না। আমি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। আমার নোয়াখালী-৫ আসনের গরিব মানুষের পাশে থাকব। আমি চেষ্টা করব, মওদুদ যেভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন, সে রকম করেই আমার এলাকায় সেবা করব।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মওদুদ আহমদকে স্মরণের ভালো উপায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতালে সাড়া দিয়ে আইনজীবীদের আধা বেলা কাজ না করা। তিনি বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি অবস্থা, গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রয়োজন। ২৮ মার্চ বাম দলসহ অনেকেই হরতাল ডেকেছেন। আমি আশা করছি, সেদিন আধা বেলা আইনজীবীরা কোর্ট নাই–বা করলেন। জনগণের কাতারে এসে জনগণকে সাহস জোগাবেন। আপনাদের সাহস জোগানোই হবে মওদুদ আহমদকে স্মরণ করার সবচেয়ে ভালো উপায়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ না খেয়ে আছে, হাহাকার। এ সরকার অন্ধ। মানুষের হাহাকার দেখে না। যেদিন দেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, স্বৈরাচারের পতন হবে, সেদিন মওদুদ ভাইয়ের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদিত হবে। মওদুদ ভাইকে যারা অপমানে জর্জরিত করেছে, তারা অচিরেই বিদায় নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মওদুদ আহমদ নাকি বারবার দল বদল করেছেন। দল বদল করলে অসুবিধা কী? এরকম পরিবর্তন যখন হয়, তখন তিনি কি সুবিধাবাদের দিকে যান নাকি জনগণের পক্ষে থাকেন। সেটাই বড় কথা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মওদুদ আহমদ ব্যক্তিক্রমী ছিলেন। তিনি বইয়ে নিজের বিশ্বাসের কথা বলতেন। তার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে দলের ভেতরে ঝড় উঠেছিল, তারপরও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে স্থির ছিলেন।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, মওদুদ সাহেব প্রমাণ করে দিয়েছেন, আপনি যতই ব্যস্ত থাকেন, আপনার কিছুসংখ্যক মামলা থাকতে হবে গরিবদের। এ জন্য তাঁকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, তাঁকে (মওদুদ) বলতাম, আপনি যে বইগুলো লিখেছেন, সেগুলোর মাঝেই আপনি বেঁচে থাকবেন। আজ আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি তার লেখনীতে বেঁচে আছেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, একজন রাজনীতিবিদকে মূল্যায়ন করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। মওদুদ আহমেদ যে দলেই থাকেন না কেন, তার একটা উদার রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক চেতনা ছিল। ইতিহাসের কাছে তিনি সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন। আগামী প্রজন্মের জন্য তিনি যে শিক্ষা বইয়ের মধ্যে রেখে গেছেন, ইতিহাসের মাপকাঠিতে সেখানেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চ‚ড়ান্ত বিচার হবে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, সংগীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী প্রমুখ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2