নিক্সন চৌধুরী ফেঁসে যাচ্ছেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৫ এএম, ১৫ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:১৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানার ফোনে কল করে সেখানকার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। তেমনই একটি ফোনালাপের অডিও ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।
এছাড়াও চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অত্যন্ত মানহানিকর ও অশ্রাব্য ভাষায় হুমকি ও গালিগালাজ করার অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র এ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিষয়টিকে নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী উল্লেখ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছেন ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিকে, বিধি বহির্ভূত আচরণের জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকালের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
তবে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরীর দাবি করেন, নেতাকর্মীকে আটক করায় নালিশ করেছেন, গালিগালাজ করেননি। বক্তব্যকে ‘সুপার এডিট’ করা হয়েছে। যদি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তবে ডিসির বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত। নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবি করেন নিক্সন চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিওর প্রতিটি দাড়ি-কমা সত্য। কোনো এডিট হয়নি। কিন্তু এটা কিভাবে সামাজিক মাধ্যমে গেল সেটা জানি না। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষের কাছে অডিও’র ক্লিপসহ পাঠিয়েছি। কারণ যখন এভাবে হুমকি দেয়া হয় তখন দায়িত্ব নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো। কিন্তু এটা কিভাবে লিক হয়ে গেল, সেটা বলতে পারছি না।