সেই রানা এখন দাপুটে নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আনোয়ার হোসেন রানা। বিতর্ক যার পিছু ছাড়ে না। পদ-পদবি ব্যবহার করে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। শূন্য থেকে শ্বশুরের অর্থ আত্মসাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়া রানা এক সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির পদ পেতে ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের পিছনে। তাতে কাজ না হলে রাতারাতি বনে যান বিএনপির কর্মী। এরপর বিএনপি পদ বাগিয়ে নিতে ঘোরা শুরু করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের পিছনে।
বিএনপি ক্ষমতার বাহিরে থাকায় বিপুল টাকা দিয়ে ভাগিয়ে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদকের পদ। সাধারণ সম্পাদক জেলে থাকায় দায়িত্ব পান নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক বিএনপি কর্মী রানা।
এদিকে, গত ২০ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেছেন, পারিবারিকভাবে আনোয়ার হোসের রানার নামে শতকোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। সে মামলা থেকে রক্ষা পেতে ও তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে এবং দলীয় ইমেজ ফিরে পেতে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা রকম নাটক সাজিয়েছে।
অন্যদিকে, আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঐতিহ্যবাহী সরিফ বিড়ির শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সরিফ বিড়ির কর্ণধারের মেয়ে আনোয়ার হোসেন রানার চার শ্যালিকা- মাহবুবা খানম আমেনা, নাদিরা শরিফা সুলতানা খানম, কানিজ ফাতেমা পুতুল ও তৌহিদা শরিফা সুলতানা।
সম্পদ আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এবং গত ২৪ সেপ্টেম্বরে আনোয়োর হোসেন রানার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সরিফ উদ্দিনের চার মেয়ে। এরপর ওই বছরের (২০২০) ৫ অক্টোবর মেয়ে ও মেয়ের জামাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন সেখ সরিফ উদ্দিনের স্ত্রী দেলওয়ারা বেগম। ওই মামলায় স্ত্রীসহ গ্রেফতারও হন রানা। উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধরাও পড়েন এই দম্পতি। এখন অবশ্য ওই মামলায় জামিনে রয়েছে তারা।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু বলেন, আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে মামলা আছে। বিষয়টি আমি জানি। একটা সময় সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলো।
এরপরও শোনা যাচ্ছে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন এমন প্রশ্নে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন হবেন। এক্ষেত্রে সিলেকশনের কোন সুযোগ নেই।