নৈশভোটকে মিথ্যা বলার সুযোগ নেই, বিদায়ী সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে গেলেন মাহবুব তালুকদার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। নানা ক্ষেত্রে সমালোচিত এই কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইভিএমসহ বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন তিনি। এমনকি ইভিএম নিয়ে বিরোধিতা করে 'নোট অব ডিসেন্ট' দেওয়া থেকে শুরু করে কমিশন সভা বর্জন করেছেন তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুব তালুকদারকে 'বিএনপির মনোনীত'হিসেবে দেখে এসেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। বিভিন্ন সময়ে তার সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাকে।
এ অবস্থায় বর্তমান কমিশন থেকে বিদায় নেওয়ার আগে গত ৫ বছরে কমিশনের নানা কর্মকাণ্ড, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে কমিশনের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহবুব তালুকদার। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করলেন, কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
মাহবুব তালুকদার: নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বাইরের শান-শওকত, গানম্যান, প্রটেকশন ফোর্স, অফিস ও বাসায় জাতীয় পতাকা, গাড়িতে নিজস্ব পতাকা ইত্যাদি আমার জন্য ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা। কিন্তু, অভ্যন্তরীণ নানাবিধ টানাপোড়েনে আমি বিপর্যস্ত ছিলাম। আমি নির্বাচন সম্পর্কে নীরব জনগোষ্ঠীর না বলা কথা শোনার চেষ্টা করেছি এবং তাদের মনোভাব অনুযায়ী চলতে চেয়েছি। কারণ নির্বাচনে জনমানসের প্রতিফলন অপরিহার্য। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার সামনে যেসব বক্তব্য দিয়েছি, তাতে আমি ছিলাম নির্বাক জনগণের নীরব ভাষার মুখপাত্র। কিন্তু, বাস্তব অবস্থার টানাপোড়েন এড়াতে পারিনি।
নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মাহবুব তালুকদার। নিজেদের সফল দাবি করবেন, নাকি ব্যর্থ? মাহবুব তালুকদার: নিজেদের সফল বা ব্যর্থ দাবি করা আমার জন্য অমূলক। সফল হয়েছি না ব্যর্থ হয়েছি, সে মূল্যায়ন করবে দেশবাসী, মিডিয়া বা সংশ্লিষ্টরা। সুতরাং এ নিয়ে আমার কোনো দাবি নেই।