আবার সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গতকাল বুধবার দেশের ছয় জেলায় সমাবেশ করার কর্মসূচি থাকলেও প্রশাসনের বাধার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ বাদে যশোর, টাঙ্গাইল,বগুড়া ও দিনাজপুরে সমাবেশ করেছে দলটি। সমাবেশগুলোতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিকালে টাঙ্গাইল জেলা সদর মাঠে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছেন। কীসের সংলাপ শুরু করেছেন? নির্বাচন কমিশন গঠন করে কী হবে? যে সরকার আছে সেই সরকারই তো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন গঠন করে কোনো লাভ হবে না।
আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই এই নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে কোনো লাভ হবে না, সংলাপ সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, তবে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’
আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, সাবেক এমপি ও বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু সরকার, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, সাঈদ সোহরাব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন, ফরহাদ ইকবাল, অমল ব্যানার্জী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু। সমাবেশে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকার একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। তিনি আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বারবার ডাক্তাররা বলছেন যদি তার জীবন রক্ষা করতে হয় তাহলে তাকে এই মুহূর্তে বিদেশ পাঠানো দরকার। কিন্তু তারা শুনছেন না। আমরা সারা দেশে গণ-অনশন করেছি, সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি, আমরা একটাই দাবি জানিয়ে আসছি—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে চিকিত্সার সুযোগ দিন। তারা সেটা দিচ্ছেন না। আইন দেখায় আইনমন্ত্রী। আরে তোমরা নিজেরাই তো বেআইনিভাবে বসে আছ। এই দেশ এই মাটি এই সংবিধান এবং দেশনেত্রীকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। সেই দুর্বার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই দানবীয় সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’