avertisements 2

এ যেন 'নির্বাচনী ইনস্যুরেন্স', মারা গেলেই ১০ লাখ!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ নভেম্বর, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

এ যেন নির্বাচনী ইনস্যুরেন্স। কেউ মারা গেলে বা আহত হলে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হিসেবে রাখা হয়েছে এ ইনস্যুরেন্স। তবে এ ইনস্যুরেন্স এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণ হতে পারে বলে মনে করছে সচেতনরা।

বর্তমান ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, 'আমার নির্বাচন করতে গিয়ে যদি কোনো কর্মী মারা যায়, তবে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর যদি খুনোখুনি-বাইরাবাইরি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, তাহলে আমি তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করব। এমনকি তার সংসারের খরচও আমি চালাব। আমি মাইট্টা ডোরা সাপ। চুপ করে শুয়ে থাকি, আর যখন কামড় মারি, তখন মাংসসহ ছিঁড়ে ফেলি।'

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৫ ও ২৬ আক্টোবর নিজ বাড়িতে কর্মিসভায় এমন বক্তব্য দেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ। সম্প্রতি তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে নির্বাচনী সহিংসতার ইঙ্গিত বহন করছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

উপজেলায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম যুবরাজ মোবাইল ফোনে বলেন, ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সহিংসতায় তিনজন লোক মারা গিয়েছিল। নিহতদের পরিবারকে কেউ সহযোগিতা করেনি। এতে করে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই কথার উদাহরণ দিয়ে আমি বলেছি যে নির্বাচনে আসতে আপনারা ভয় করবেন না। আল্লাহ এমন দিন না আনুক যে কেউ মারা গেলে সহযোগিতা পাবেন না। আমার নির্বাচন করতে গিয়ে যদি কেউ মারা যান তবে আমি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেব।  

১৯৯৬ সালে তিনজন মারা গেছে। কেউ পরিবারকে সহযোগিতা করে নাই। এতে করে তারা ফকির হয়ে গেছে। এ জন্যই আমি এই কথা বলেছি। এতে কী হয়েছে।

বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম টিটু বলেন, সাইফুল ইসলাম যুবরাজ যে বক্তব্য দিয়েছেন ফেসবুকে এটা ভাইরাল হলে অন্যান্য মানুষের মতো আমারও নজরে আসে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উসকানিমূলক এবং এটা সহিংসতার পূর্বাভাস বলে মনে করি। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে গতবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। এবারও তিনি মনোনয়ন চেয়েছেন আমিও চেয়েছি। কিন্তু ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এ রকম বক্তব্য মোটেও কাম্য নয়। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, তিনি যদি কোনো সহিংস ঘটনা ঘটান বা ঘটাতে চেষ্টা করেন আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2