নৌকা ডুবানো জাহাঙ্গীর এখন জেলখানায়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। দল থেকে মনোনয়ন পাননি। তাই ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ভোটে লড়েন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছেন। এরপর এক সপ্তাহও যায়নি, এখন তিনি জেলখানায় আছেন। জাহাঙ্গীর আলম বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভার নবনির্বাচিত পৌর মেয়র। সহিংসতার মামলায় গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ তাঁর চার অনুসারীকে ছুরিকাঘাতের মামলায় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মেয়র জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মেয়র জাহাঙ্গীর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোটের আগের দিন ১ নভেম্বর তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর। ভোট চলাকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কানুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ধাওয়ার মুখে পড়েন। এ ঘটনার জেরে পরদিন বুধবার দুপুরে মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যরা সেখানে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ছুরিকাঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামানসহ চারজন আহত হন। এ ঘটনায় ৩০ জনের নামে মামলা হয়। মামলার পর ওই রাতেই পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি রেজাউল করিম বলেন, চারজনকে ছুরিকাঘাতের মামলার প্রধান আসামি মেয়র জাহাঙ্গীর। এখন পর্যন্ত তাঁকেসহ এই মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।