শেখ হাসিনার নোবেল না পাওয়ায় দায়ী ভারত: ডা. জাফরুল্লাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
শেখ হাসিনার নোবেল না পাওয়ায় জন্য ভারত এবং তাদের অনুগত আমলারা দায়ী মন্তব্য করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা নোবেল প্রাইজটা পেলেন না কেন? এটা একটা বিশ্লেষণ করা দরকার। এর কারণ দুটি ভারত এবং দেশটির অনুগত আমলারা। স্টকহোম যেতেন তাহলে বোঝাতে পারতেন দেশে জন্য তিনি কি কি করেছেন। ওনার হয়তো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো।
রোববার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে “নাগরিকদের ভোটাধিকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কোপ পথে” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নোবেল পুরস্কার না পাওয়া দুঃখজনক। তিনি হেলসিঙ্কি গেলেন, যদি অসল পর্যন্ত যেতেন তাহলে হয়তো নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতো। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নোবেল পুরস্কারের সর্টলিস্টে থাকলেও দেশে আইনের শাসন না থাকার জন্য প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০ লক্ষ মামলা বিচারের অপেক্ষায় পরে আছে। খালেদা জিয়ার জামিন হয়না আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায়। যে টাকা চুরি হয়নাই তার জন্য খালেদা জিয়া আটক আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বরং প্রশ্ন উঠতে পারতো এই যে জাতিসংঘের অধিবেশনে ঘুরে যাচ্ছেন, এই টাকার অপচয় কোথা থেকে হচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য তাঁর অবদান আছে। জাতিসংঘের সাথে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি তো আরো ১৫ দিন আগেই হতে পারতো, হয়নি ভারতের চক্রান্তে। বাংলাদেশের কিছু আমলা আছে, জনগণের টাকায় চলে কিন্তু কাজ করে ভারতের হুকুমে। বিদেশী গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা ক্রমে বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণ দেশের মালিক, কিন্তু জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা খেতে পাইনা, জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যিনি রিক্সা চালান তিনি রিক্সাটারও মালিক হতে পারেন না। আমরা ১ কোটি পরিবারকে ২৫ টাকা সের এ চাল দিতে পারি না, ১৫ সের আটা দিতে পারি না, ৫০ টাকায় তেল দিতে পারি না, চিনি দিতে পারি না। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নাই। আমি এমপি হলেও আমার কিচ্ছু করার ক্ষমতা নাই। কনক সারোয়ারের বোন রাকাকে কেন ধরা হয়েছে? তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তার ভাই আপনার মন মতো কথা বলে নাই এজন্য তার বোনকে আপনি ধরতে পারেন? বাংলাদেশ একটি মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে.
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাস্তায় নামতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান কোরআন শরীফ নয় যে এর পরিবর্তন করা যাবে না।
তিনি বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা মেরুদ-হীনতায় ভুগছেন। আমাদের নির্বাচন কমিশনকে পুলিশ সেলুট দেয় বটে কিন্তু কনস্টেবলও তাকে মানে না।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় নাই। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তা বাস্তায়নের জন্য রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় নাই।
সভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নইম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান।