কবরে জিয়ার মরদেহ আছে কি না বলতে রুচিতে বাধে: ফখরুল
কবরে জিয়ার মরদেহ আছে কি না বলতে রুচিতে বাধে: ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, সেটা উনি প্রমাণ করুক। লেট হিম প্রুভড, হি ওয়াজ দ্য ফ্রিডম ফাইটার।
দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কবরে জিয়াউর রহমানের মরদেহ আছে কি না, সে বিষয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। এগুলোর উত্তর দেয়াটা আমাদের পক্ষে কঠিন,ছোট মনে করি।
তিনি বলেন,এটা জাতির দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলা হয়। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু না। জিয়াউর রহমান জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। সুতরাং তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন,আমাদের লজ্জা হয়, দুঃখ হয় যখন স্বাধীনতার ঘোষকের মাজারে আসি, তখন আমাদের বাধা দেয়া হয়, আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘ এ ৪৩ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমূল ও মৌলিক কতগুলো অবদান রেখেছে। একদলীয় স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তন হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। পরবর্তীকালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে এসেছে। জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর সবাই ভেবেছিল যে বিএনপি বোধ হয় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার যোগ্য উত্তরাধিকারী খালেদা জিয়া স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের পতাকাকে তুলে ধরেছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য এই জাতির, আজকে সেই নেত্রী মিথ্যা মামলার কারণে কারাবন্দী, অন্তরীণ হয়ে আছেন।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, খায়রুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ, সাবেক সাংসদ আক্তারুজ্জামান, মহানগর বিএনপির উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।