নারীর প্রতি আড়চোখে তাকাবে এমন কর্মী ছাত্রলীগে নেই: লেখক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের দাবি, ধর্ষণ তো দূরের কথা, নারীর প্রতি আড়চোখে তাকাবে এমন কর্মী ছাত্রলীগে নেই। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব বলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
এসময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ঢাবির এক শিক্ষার্থীসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় ছাত্রলীগ। এসময় লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণ তো দূরের কথা, কেউ নারী সমাজের প্রতি বিন্দুমাত্র আড়চোখে তাকানোর সাহস করে, এমন কোনো কর্মী বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই। সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় সবার আগে কে আন্দোলন করেছে? সবার আগে ছাত্রলীগ সেখানে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ধর্ষকদের বিচার না হবে, তারা কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘নুর ডাকসুর সাবেক সব ভিপির মর্যাদাহানি করেছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রীকে ‘পতিতা’ ডেকেছে। এই ধর্ষকের কোনো দল নেই। তারা ধর্ষণও করবে, আবার আন্দোলনও করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ইতিহাস নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক করেছে সে। গুজবের মাধ্যমে ভিপি পদ বাগিয়ে নেয়া নুরের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’ সিলেটে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কেউ ছাত্রলীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সিলেটের এমসি কলেজে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কেউ ছাত্রলীগ হতে পারে না। আপনারা জানেন, এই ঘটনায় সিলেটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যারা ধর্ষণ করেছে, তারা যদি ছাত্রলীগ হয় তবে যারা আন্দোলন করেছে, তারা কারা?’
নুরুল হক নুরকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আপনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আপনি বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন, আমি নাকি এই ঘটনার সাথে লিপ্ত। আপনি একটা পাগল, আপনি মানসিক বিকারগ্রস্ত। আপনার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর ধর্ষণের বিচারের জন্য যদি আমি মামলা করতে পারতাম, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম।’
ডাকসুর সাবেক এজিএস এবং ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা পত্রিকার লিড রিপোর্ট হবে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা নিম্নমানের কাভারেজ পাবে, তা কেন? গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ সব ঘটনা যেন সমান গুরুত্ব পায়।’
তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড চাই- শুধু এটুকু বলেই আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। বরং নারীর ওপর অপরাধের শর্ত তৈরি করে যে সমাজ, সেই সমাজকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে হবে।’ এ সময় অনতিবিলম্বে সব ধর্ষণ ঘটনার দ্রুততম সময়ে বিচার দাবি করেন সাদ্দাম হোসেন।