তারেক রহমানের তোপের মুখে বিএনপির সিনিয়র নেতারা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ১২:০৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
তারেক জিয়ার তোপের মুখে পড়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন না হওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন তারা। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ স্থায়ী কমিটির তিনজন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন।
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে লন্ডন থেকে তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে নিজ নিজ বাসা থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। পরে সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রবিবারের মধ্যে এ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। এর আগে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সিনিয়র তিনজন নেতা তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেন, ‘যেহেতু চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু এর তদন্ত না করার সুযোগ নেই। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কথা প্রথমে শুনলাম, এখন তারও কোনো খবর নেই। এটা ঠিক না। এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের পর দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এরপর ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।’
সূত্র জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর দেশের চার সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দিন ঢাকা-১৮ আসনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৭ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন ও যুবদলের উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে ওই দিনই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কমিটি গঠনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ওই আসনের অপরাপর সাত মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন জানান। এর প্রেক্ষিতে দলের হাইকমান্ড কমিটি গঠনের বিষয় গুরুত্বারোপ করেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জন দুর্ভোগসহ চলমান ইস্যুতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে একমত পোষণ করেন নেতারা।