আমাকে বিএনপি-জামায়াত বানাতে পারবে না: মেয়র আইভী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, 'মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বংশানুক্রমে আওয়ামী লীগের হয়ে গেছে। আবার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগ। বিএনপি, জামায়াত কীভাবে করবো? আমরা তো জন্মের পর থেকেই শুনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমাকে চাইলেও জামায়াত-বিএনপি বানাতে পরবে না।'
সোমবার দুপুরে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র আইভী। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
মেয়র আরও বলেন, ‘এই শহরের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা সবাই জানেন। আমি কোনো কিছুর ভয় না পেয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ২০০৩ সালে পৌরসভার নির্বাচন করেছিলাম। ৮ বছর এই শহরের কাজ করে ’১১-তে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করি। সে সময় নারায়ণগঞ্জবাসী আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমিও তাদের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই সিটির মেয়র হওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল জনসেবা। পত্রিকাগুলো আমার বিরুদ্ধে যখন লিখতো তখনও আমি কিছু মনে করতাম না। গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করুক, এটাই চাইতাম। তবে কেবল আমাকে ছোট করার জন্য বা আমি একজন নারী বলে আমাকে যা খুশি তাই বলবেন; সেটা মেনে নেবো না। আমি সেই তথাকথিত নারী না।’
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, 'একটা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে। আমরা প্রায়ই বলে থাকি নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে নারায়ণগঞ্জের কথা বলেছেন। সেদিন পাইকপাড়ায় বঙ্গবন্ধু যান এবং সে এলাকার বাসিন্দারা তাকে বলেন, আমরা আপনার পাশে আছি এবং আপনাকে সুরক্ষা করবো। সেই পাইকপাড়ায় মিউচুয়াল ক্লাবে সেদিন মিটিং হয়েছিল। কমিটি নির্ধারণ হয়েছিল। পরে তা আনুষ্ঠানিকভাবে রোজ গার্ডেনে ঘোষণা করা হয়েছিল।'
তিনি বলেন, 'আমি একজন নারী বলে আমাকে যা খুশি তাই বলবেন এটা আমি মেনে নিতে পারবো না। আমি সেই তথাকথিত নারী না, যে আপনি বলবেন এই মহিলা ভালো না, এই মহিলা দুশ্চরিত্রা, ঝগরা করে, আমি এগুলো মানতে রাজি না। একজন পুরুষ একটি কর্পোরেশন চালায়, তখন সে নিজের মতো করে চালায়, সে কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে একটি কাজ করায়। কিন্তু কোন নারী জোড়ে কথা বললে বলেন, এই নারী ভালো না। সেই নারী নারায়ণগঞ্জের মতো একটি শহরকে সঠিক জায়গায় আনার জন্য লড়াই করে তখন সেই নারীকে ফাঁসি দেয়া হয়, পোষ্টার ছাপানো হয়। কতো ধরনের অভিযোগ শুনতে হয়।'