হেফাজতের আন্দোলন সমর্থন করে সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ৩১ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
হেফাজতের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জের এক ছাত্রলীগ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা এই নেতা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ মাজেদ। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের কথা জানান।
পদত্যাগী ছাত্রলীগ সভাপতির ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখা যায়, তিনি পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘মুসলিম জনতার মানবতাকে উপেক্ষা করে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী, সীমান্ত হত্যাকারী, কাশ্মীর দখলকারী, কসাই মুদিকে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ও নামাজি মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘৃণ্যতম কাজের কারণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলাম’।
ওই পোস্টে ইসলাম, মুসলিমদের উপর অত্যচারসহ ছাত্রলীগকে নিয়ে কিছু কথাও লেখেন হাফিজ মাজেদ। পোস্টে ছাত্রলীগকে বয়কটের ঘোষণাও দেন তিনি।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূল ছাত্রলীগের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজপথের ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে ও অবমূল্যায়ন করে ছাত্রলীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী ও অন্য দলের এজেন্টদেরকে পদপদবী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন ভুইফোঁড় সংগঠনের নামেও শিবির-ছাত্রদলসহ বিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী ব্যানারের নিচে নিরাপদে স্থান করে দেয়া হয়েছে। সুযোগ পেলে তারাই সংগঠনকে বিতর্কের মাঝে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ মাজেদ এখন ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বে নয়। তিনি প্রায় দুই বছর আগে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর প্রবাসে চলে যাবার কারণে পদত্যাগ করেছেন। এখন হেফাজত ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন বলে তার জানা নেই বলে জানান।
তিনি বলেন, পৌরসভা ছাত্রলীগে কোন অনুপ্রবেশকারী নেই। ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে অনেক যাচাই বাছাই করে পদপদবী দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন গ্রুপে অনুপ্রবেশকারী আছেন বলে স্বীকার করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, পৌরসভা ছাত্রলীগ আলাদা একটি ইউনিট। তাই তারাই ভালো বলতে পারবে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কেন পদত্যাগ করলেন। এরপরও বিষয়টি দুঃখজনক। এত ত্যাগী ছাত্রলীগ কর্মী থাকাকালে কিভাবে অনুপ্রবেশকারী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পায়। তা তারাই বলতে পারবে।
উপজেলা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী রয়েছে- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগে কোনো অনুপ্রবেশকারী নেই। উপজেলা শাখা যে কোনো ইউনিয়ন কমিটি গঠনের আগে ভালো করে যাচাই বাছাই করে নেতা নির্বাচিত করে। এরপরও অনুপ্রবেশকারী কেউ ছাত্রলীগের মিছিল মিটিংয়ে আসলেও আমরা তাকে কমিটিতে স্থান দেই না।