avertisements 2

রফিকুলকে ছেড়ে দিয়ে নুরকে খুঁজছে পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৬ এএম, ২৬ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে খুঁজছে পুলিশ।  স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আসার এক দিন আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলে বিক্ষোভ হয়।  বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন নুর।  বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সেখান থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকেসহ বেশ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

পরে বিকাল ৫টার দিকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেয় পল্টন মডেল থানা পুলিশ। তবে বাকি ৩২ জন আটক রয়েছেন।

তবে মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ভিপি নুরুল ইসলাম নুর আহত হয়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছেন নুরের ভাগ্নে মিঠু। তিনি টেলিফোনে বলেন, মামা পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।  তবে নুরের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়েছে যে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পুলিশের ওপর হামলার নেতৃত্বে নুর ছিলেন দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে খোঁজা হচ্ছে। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হবে।’

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের লোকজন বিক্ষোভ বা সমাবেশ করার আগে ডিএমপি থেকে অনুমতি নেয়নি। ফলে আমরা বাধা দিলাম। বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে তারা। এতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ভিপি নুরকে খুঁজছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। সংঘর্ষে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2