avertisements 2

বিদেশে বিএনপির চেয়ে আ.লীগ নেতাদের বাড়ি-গাড়ি বেশি: কাদের মির্জা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:১১ এএম, ২৩ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নামে ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেছেন, আমার নামে নানা ধরনের ফেসবুক আইডি কে বা কারা খুলেছে আমি জানি না। এগুলো ফেক আইডি। আমার নামে একটি আইডি আছে। তাতে সবকিছু আছে। অথচ বলা হচ্ছে আমি নাকি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমার ফেসবুক আইডি থেকে সব মুছে ফেলেছি। আমার সাথে ওবায়দুল কাদেরের কোনো যোগাযোগ নেই।

রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে একটি অনলাইন গণামাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) যদি আমার ভাই হন, তাহলে আমার রুমে কিভাবে পাঁচশ গুলি করা হয়? উনি যদি আমার ভাই হন তাহলে পৌরসভায় কিভাবে দুই হাজার গুলি করা হয়? আমাকে ছয় ছয়বার হত্যার চেষ্টা করা হয়? উনি থাকতে কিভাবে হয়? উনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। এগুলো কার প্ররোচনায় হচ্ছে? তার সাথে আমার যোগাযোগের প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, আমার নামে ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এগুলো কার চক্রান্ত্র এ বিষয়ে আমি পরে বলব। দেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য কারা এগুলো করছে আমরা সব বুঝি। আমরা যে বুঝি না এটা ঠিক না।

বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র বলেন, আমি ৪৭ বছর ধরে রাজনীতি করি। জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। উপবাস ছিলাম দলের জন্য। ঈদের দিন পর্যন্ত উপবাস ছিলাম। আজকে কষ্ট লাগে এসব কথা বলতে।

তিনি বলেন, আমার ছেলেগুলোর জামিন হয়নি। অথচ তাদেরগুলোর হয়েছে। আমি আমার কষ্টের কথাগুলো বলি, তাই আমার সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করা হয়েছে। আমার ছেলেগুলোর জামিন বন্ধ করা হয়েছে। আমার ছেলেগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্ত্র দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একের পর মামলা দিচ্ছে।

কাঞ্চনের বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে মামলা দিয়েছে আবার লিটনের বাড়িতে গিয়ে একই কায়দায় কাজ করার চেষ্টা করলে বাড়ির লোকজন যখন ভিডিও করেছিল তখন আর অস্ত্র দিয়ে কোনো কিছু করতে পারেনি। এভাবে উপজেলার প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুলিশ এগুলো করছে। তারা দাঁড়িয়ে থেকে আমার পৌরসভায় গুলি করানো হয়েছিল এবং তাদের গুলিতে আলা উদ্দিন মারা গেছে।

তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি ও ওসি তদন্ত যদি থাকে এখানে সাংবাদিক মুজাক্কির ও আলা উদ্দিনের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে না। এমনকি এ এলাকার মানুষও ন্যায়বিচার পাবে না।

এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান তিনি। এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের চৌকস অফিসার দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা খবর নেন, কিভাবে জেলে বসে বাদল লাইভ করে। সব চলছে একতরফা। একরামুল করিম চৌধুরী শনিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে গিয়ে একটার সময় বের হয়ে এসেছে। আমি ভেতর থেকে খবর পেয়েছি আমাকে হত্যার নতুন ছক আঁকতেছে। এ বিষয়গুলো আপনাদের জানিয়ে রাখলাম। আমি কোনো কিছুতেই ভয় পাই না। আমি যে সত্যবচন শুরু করেছি তা আমি বলে যাব।

মির্জা কাদের বলেন, আমি আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছি সরকারি সফরে। সেখানে দেখে এসেছি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সারির নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে কী পরিমাণ বাড়ি গাড়ি করেছে। সবচেয়ে বেশি করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। সেখানে তাদের একাউন্টে টাকা আছে। এটি বাঙালিদের মুখে মুখে। আর আমার কর্মীরা চায়ের পয়সা পায় না।

এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা কাদের বলেন, আমার কাছ থেকে অনেকে সরে গেছে এটি সঠিক। কারণ আমার কাছে তো অর্থ নেই ,অস্ত্র নেই। সাধারণ মানুষ সরে যায়নি। সুবিধাবাদী চরিত্রে যারা, আর যারা কাপুরুষ, ভীরু তারা চলে গেছে। কোনো সাধারণ মানুষ আমার কাছ থেকে সরে যায়নি। সাধারণ মানুষ কী বলে বা তাদের মনের কথা কী আপনারা ঘুরে খোঁজ খবর নিলে জানতে পারবেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2