সরকার সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে: টুকু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:২০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, সরকার সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী তাণ্ডব থেকে নারী নেত্রীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। কিন্তু এভাবে বেশি দিন চলবে না। দেশে গণতন্ত্র ফিরবেই। এসব হত্যা আর জুলুমের বিচার অবশ্যই হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাঙ্গাইলের গোপালপুর শহর বিএনপির সভানেত্রী ও পৌরসভার নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হাফিজা বেগমকে হত্যার অভিযোগ করে তিনি এসব বলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করেন তাকে। আহত অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি তরা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে মারা যান।
তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার ধারাবাহিকতায় হাফিজা বেগমকেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এভাবে হত্যা-গুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় চিরকাল থাকতে পারবে না। দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। জনগণের রোষাণল থেকে বাঁচতে হলে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে।
হাফিজা বেগমকে স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন দলের একজন নিবেদিত কর্মী। সারাজীবন জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করেছেন তিনি। এজন্যই তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল পুর্বপাড়ার বাড়ি থেকে তিনি একটি ওয়াজ মাহফিলে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় উঠলেই উল্টো দিকে থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি তরা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুল খালেক পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তার হোসেনকে অভিযুক্ত করে গোপালপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন।