বিএনপির ‘কঠিন সময়ে’ মেজর হাফিজেরপদত্যাগের ইঙ্গিত সহ ৪সুপারিশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:০১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিসের জবাব দেয়ার পাশাপাশি বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বেশকিছু সুপারিশও করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ‘সরকার পরিবর্তন আন্দোলন’র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও মেজর হাফিজকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়।
বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই গত বুধবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোকজের জবাব পৌঁছে দেন শওকত মাহমুদ।
আর আজ শনিবার বনানীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে শোকজের জবাব দিলেন মেজর হাফিজ। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
লিখিত বক্তব্যে ১১ অভিযোগের জবাব দেয়ার পাশাপাশি দলের ‘কঠিন সময়ে’ বেশকিছু সুপারিশও করেন মেজর হাফিজ।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দল বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বিগত চার বছর দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সভা হয়নি। বক্তব্য রাখার কোনো সুযোগই পাইনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে কয়েকটি সুপারিশ করেন। তার সুপারিশগুলো হলো-
১. ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা।
২. দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি বাণিজ্য এবং মানোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্যের নেতৃত্বে একটি কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে কাউন্সিল সভার রিপোর্ট পেশ করা। ভবিষ্যতে সব নির্বাচনে দল থেকে একজনকে প্রার্থী এবং একজনকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া। এতে মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ কমে যাবে।
৩. দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলো কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে গঠন করা। সম্প্রতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় বসে গঠন করেছেন, আহ্বায়ককেই আমি চিনি না। ছাত্রলীগের কর্মীরাও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমার সুপারিশকে বিবেচনা করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে কোনো উত্তর পাইনি। ২৯ বছর সার্ভিস দেয়ার পর চিঠির একটি উত্তর আশা করতেই পারি!
৪. দলের কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া। তাহলেই সৎ, নির্লোভ, মহান নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মা শান্তি পাবে।