মাহিয়া মাহি ও ডলি সায়ন্তনী কি জিততে পারবেন?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৩৫ এএম, ১৭ আগস্ট,রবিবার,২০২৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন তারকা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ ও ডলি সায়ন্তনী। প্রথম তিনজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইলেও তাদের মধ্যে মাহিয়া মাহি পাননি। ফেরদৌস ও মমতাজ পেয়েছেন। ফেরদৌস ঢাকা-১০ থেকে এবং মমতাজ তার আগের আসন মানিকগঞ্জ-২ থেকে মনোনয়ন পান। অন্যদিকে, ডলি সায়ন্তন বিএনএম থেকে পাবনা-২ আসন থেকে মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগ থেকে মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থী হন। তবে মাহির মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দেয়। একইসঙ্গে ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়। দুজনই প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটাই নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে মাহির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান। ডলি সায়ন্তনীও প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। তিনিও প্রার্থীতা ফিরে পান। প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে মাহিয়া মাহি জানান, খুব টেনশনে ছিলাম, আমি ন্যায়বিচার পাব কি না। আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম, সেটারই প্রতিদান পেয়েছি এবং এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছি এই নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাহি জানান, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই তিনি জয়লাভ করতে চান। হারতে কেউ পছন্দ রে না, আমিও চাই না। সবাই যার যার জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করবে। আমার এলাকার মানুষ আমাকে চায়। ইনশাআল্লাহ, বিপুল ভোটে তারা আমাকে বিজয়ী করবে। তিনি বলেন, আমি বরাবরই যোদ্ধা, যুদ্ধ করেই জয়লাভ করব, ইনশাআল্লাহ। অন্যদিকে, প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ডলি সায়ন্তনী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। রায় পেয়েছি, আমি খুবই আনন্দিত। আমার এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমিও খুব উদগ্রীব হয়ে আছি, তাদের কাছে যাওয়ার জন্য। এখন দেখার বিষয়, এই দুই তারকা জনগণের রায় পান কিনা। দুজনই কঠিন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে লড়াই করবেন।