আওয়ামী লীগের উদ্দেশে আদম তমিজী ‘আমাদের কাছে থেকে অনেক নিয়েছো, এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাও’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলা, কখনো দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথা, দলীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, নিজের বহু বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা, কখনো নিজেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়াসহ নানান বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আদম তমিজী হক। এবার আওয়ামী লীগের উদ্দেশে আদম তমিজী হক বলেছেন, ‘আমাদের কাছে থেকে অনেক নিয়েছো, এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাও।’
আদম তমিজী হক লিখেন, ‘এই দেশের জনগনের এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে, তারা কি মনে করে যে আমি একটি অনির্বাচিত সরকারকে আমার বাবার ব্যাংক লুট করতে দেব! আমার কোম্পানি লুট করতে দেব! ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে একমাত্র সরকারী ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান হইতে আমাকে ঋণখেলাপি করতে দেব! আমার ১ম স্ত্রী জোসনাকে কলুষিত করার জন্য একজন ব্যক্তিকে সেট করে আমার ছেলে ও মেয়েকে এতিম বানিয়ে তারপর আমার পরিবারে তাদের গুপ্তচর পাঠিয়ে আমাকে ভিতর থেকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছে এরা। দুর্ভাগ্যবশত কিছুই খুঁজে পায়নি।’
তমিজী হক লিখেন, ‘হক আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে আছেন। এখন এই সরকারের পদত্যাগের সময়। এটাই স্পষ্ট কথা, আমাদের কাছে থেকে অনেক নিয়েছো। এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাও। জেগে ওঠো বাংলাদেশ। যা আমাদের হক তা আদায় করে নাও।’
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’
এরপর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ানো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আদম তমিজী হককে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বেশ কয়েকদিন ধরে আদম তমিজী হকের ফেসবুক পোস্ট, লাইভ ও ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তমিজী হকের অভিযোগ- গাজীপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন আদম তমিজী হক। সে সময় তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। এরপর ওই বছরের নভেম্বর মাসে ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হয়।