মামুনুল হক ও চরমোনাই পীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২২ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক ও চরমোনাই পীর ফয়জুল করীম কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধের হুমকির প্রতিবাদে তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শনিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিস্থ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানেই কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড় এসে অবস্থান নেয়। প্রায় এক ঘন্টা শাহবাগ অবরোধ করে রাখে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন ভাস্কর শিল্পী রাশা, গৌরব৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সাত দফা দাবি উত্থাপন করে। সেগুলো হলো: জাতির পিতাকে অবমাননা করার অপরাধে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমকে গ্রেফতার করতে হবে; দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলা, উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয নির্মাণ করতে হবে; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে; বিভিন্ন ধর্মীয় সভা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এছাড়া ধর্ষণের ন্যায় বলাৎকারের অপরাধে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নিপীড়ন বন্ধে মনিটরিং সেল গঠন করে নজরদারি বাড়াতে হবে; মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় সংগীত বাজানো, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে এক সমাবেশ থেকে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে তা অপসারণের দাবি তুলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তরা বলেন, মূর্তির বদলে আল্লাহ, কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্বলিত মিনার স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, আউলিয়ার দেশ, মাদরাসার দেশ। এদেশে কোনও মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।
ওইদিনই রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।