যুবলীগের কমিটিতে আন্দালিব রহমান পার্থর ছোট ভাই শান্ত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ১৫ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ কমিটিতে নির্বাহী সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থর ছোট ভাই আশিকুর রহমান শান্ত। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ গত বছরের মে মাসে ২০ বছরের মিত্র ‘বিএনপি জোট’ ছাড়ার ঘোষণা দেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পরও বিএনপি ও তার শরিক দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় ‘হতবাক হয়ে’ জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন পার্থ। এর পর থেকে রাজনীতিতে পার্থর প্রকাশ্য কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
শান্ত তার ভাইয়ের দল ছেড়েছেন ২০১৩ সালে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তোফায়েল আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে হেরে যান শান্ত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন শান্ত। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা আলী আজম মুকুল প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পার্থ ও শান্তর বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জু ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। ১৯৯৯ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যখন জাতীয় পার্টি জোট গঠন করে, তখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এরশাদ জোট থেকে বেরিয়ে গেলে নাজিউর জাতীয় পার্টি ভেঙে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি গঠন করে জোটে রয়ে যান। নাজিউরের মৃত্যুর পর পার্থ সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেন। শান্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
যুবলীগের কমিটিতে নাম আসার বিষয়ে আশিকুর রহমান শান্ত বলেন, ২০ দলীয় জোট জামায়াত নিয়ে গঠিত। তাদের সঙ্গে রাজনীতি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় বলে আমি ২০১৩ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট ও বিজেপির থেকে পদত্যাগ করি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি পছন্দ হয় বলে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। শেখ হাসিনা মনে করেছেন যুবলীগে আমার থাকা দরকার। তাই তিনি যুবলীগে আমাকে রেখেছেন। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।