গীতিকার রাসেল সুইসাইড নোটে যা লিখে গেছেন

রাসেল ও’নীল নামে পরিচিত গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের (৪৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগান এলাকার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এ ঘটনার বর্ণনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক জানান, রাসেলকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পুলিশ। পাশে ছিল একটা সুইসাইড নোট।

এতে লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয়। অতিস্বেচ্ছায় আত্মহনন করলাম। এর সাথে কাউকেই জড়িত করা যাবে না। এবং আমার মরদেহের কোনো পোস্টমর্টেম হবে না।  হাতের এই লেখা রাসেলের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন তার পরিজন ও বন্ধুরা। তবে এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাতের খাবার শেষে নিজের রুমে যান মেহবুবুল হাসান রাসেল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তদন্তের পর এর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে বলে জানান মো. সাইদুর রহমান।তিনি বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘দিন বাড়ি যায়/চড়ে পাখির ডানায়’—এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা রাসেল একসময় সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় যুক্ত হন। গানের পাশাপাশি অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জিংগেলও লিখেছেন তিনি। তার লেখা অধিকাংশ গানই দলছুট এবং বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া