avertisements 2

৫ বছরে ৫৪টি বাংলা গান ইউটিউবে দিয়ে আয় ২৫০০ টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

কলকাতার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। যিনি তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। জাতিস্মর সিনেমাতে প্লেব্যাক করে সেরা সংগীতশিল্পীর পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার গলায়ও আক্ষেপের সুর। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৪টি ভিডিও দিয়েছেন ইউটিউবে। সেখান থেকে পাঁচ বছরে তার উপার্জন মাত্র আড়াই হাজার টাকা! এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী।

খবরে বলা হয়, নিজের পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে এই ভিডিও তৈরির পেছনে তাকে খরচ করতে হয়েছে পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা। গায়ক অকপটে জানিয়েছেন, ২০১৯-এর ছবি ‘উমা’র গান ‘জাগো উমা’ আমার শেষ জনপ্রিয় গান। তার পর থেকে একটি গানও শ্রোতাদের মনে ধরেনি। সবাই এখনো রূপঙ্কর মানেই বোঝেন ‘বউদিমণি’, ‘ভোঁ কাট্টা’, ‘এ তুমি কেমন তুমি’, ‘আজ শ্রাবণে’ ইত্যাদি। এর বাইরেও কত গান করেছি। শ্রোতারা শুনতেই চান না। নিজের পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে এই ভিডিওগুলো তৈরির পেছনে খরচ করতে হয়েছে পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা।

ইউটিউবেও অনেক গান তিনি আপলোড করেছেন। সেসব গানের অনুরোধ কোনো মঞ্চানুষ্ঠানে শোনানোর অনুরোধ নাকি পাননি শিল্পী! রূপঙ্কর আরো আক্ষেপ করে বলেন, ছবির গান তার দৃশ্যায়নের জন্য অনেক দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। যদিও তা খরচসাপেক্ষ। ইদানীং আধুনিক গান তৈরি করতেও খরচ হচ্ছে বহু টাকা। কারণ গান এখন শুধুই শোনার নয়। দেখা এবং শোনা দুটো বিষয়কে একসঙ্গে তুলে ধরে। সেই জায়গা থেকে নতুন কোনো শিল্পী চাইলেই মিউজিক ভিডিও বের করে ফেলতে পারেন না। এ ধরনের কাজ করতে ন্যূনতম খরচ লক্ষাধিক টাকা।

এর পরে শিল্পী স্বাভাবিকভাবেই জানতে চান, তা হলে বাংলা আধুনিক গানের ভবিষ্যৎ কী? আগামীতে এ ধরনের গান আর কি কেউ শুনবেন না? আগামী দিনে সফল হতে গেলে হয় প্রথম সারির কোনো প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। যাতে তাদের ছবির নেপথ্য গায়ক বা গায়িকা হওয়া যায়। নয়তো জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-তে গিয়ে ‘সেরা’র তকমা পেতে হবে। এর বাইরে তিনি আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রূপঙ্কর।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2