আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি
আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ব্যক্তিগত গোপন তথ্য প্রকাশ হওয়া নিয়ে বিরক্ত ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। বিশেষ করে রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ায় বিব্রত তিনি।
২৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার ছাড়া পেয়ে যুগান্তরকে এসব কথা বলেন পরীমনি।
রিমান্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢালিউড নায়িকা বলেন, সেভাবে হয়রানি করেনি তারা আমাকে। কি হয়েছে সবই আমি বলব। ফোন, গাড়ি সব সিআইডিতেই আছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলো ওই ফোনেই ছিল। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার রাইটস কারও নেই। তাও আমার ফোন থেকে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায়। অনেক তো হলো। সবকিছুই তো একটা জায়গায় শান্ত হওয়া উচিত। আমার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত ছাড়তে না। আমি টায়ার্ড হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কতক্ষণ পারা যায় এভাবে?
আদালতে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোখের সামনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আমি বলব না? আরে আমাকে যখন এখান (বাসা) থেকে নেয় তখন আমি জানি নাকি যে, আমাকে গ্রেফতারের জন্য নেয়। কত নাটক করে আমাকে এখান থেকে নিল। বলল, জাস্ট অফিসে যাবেন, কথা বলবেন, চলে আসবেন। ওমা, পরদিন দেখি পরীমনি গ্রেফতার। আমি বুঝলাম না কিসের জন্য। এগুলো অনেক কথা। সব বলব আমি।
গণমাধ্যমের ওপর বিরক্ত পরীমনি বলেন, সবাই পরিচয় দিচ্ছেন সাংবাদিক। সবাই কি সাংবাদিক? মোবাইল হাতে নিলেই কি সাংবাদিক হয়ে যায়? এরা কেউ আসলে সাংবাদিক না। বেশিরভাগ ইউটিউবে কন্টেন্ট বানায় তারা। ফ্ল্যাটের লোকজন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা না সরে সাংবাদিক পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সাংবাদিক বলে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসলে এসব করে তারা ইউটিউব কন্টেন্ট বানাবে। রসালো হেডিং দেবে।
‘শারীরিক অবস্থা এখন কেমন’- এমন প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হাসিতে পরীমনি বলেন, পাগল পাগল হয়ে গেছি। ছাড়া পাওয়ার আগের রাতে এক্সাইটমেন্টে ঘুম হয়নি। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল ওদের কেউ কেউ নামাজ পড়ছিল, কেউ জেগে ছিল। ওদের সঙ্গেও একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। ফজরের আগে ভাবলাম দুই ঘণ্টা ঘুমাই, ৮টার সময়ে হয়তো ডাকবে। ওমা, ফজরের আজানের পরই শুরু হয়েছে একজনের পর একজন আসা। একজন বলছে রেডি হও, যেতে হবে। একটা ফোঁটাও আমি ঘুমাইনি। গাড়িতে একটুখানি চোখটা বন্ধ হয়েছিল।