রাখির নগ্ন ভিডিও ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে আদিল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ আগস্ট,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৪৭ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত অভিনয়ের থেকে নানা বিতর্কের কারণেই যেন সারা বছর আলোচনায় থাকেন। গত বছরই রাখি সাওয়ান্ত মুসলিম মতে বিয়ে করেন আদিল খান দুরানিকে। এরপর গত বছরের শেষের দিকে তার মায়ের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিভিন্ন অভিযোগ এনে আদিলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেই যাচ্ছেন রাখি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চমকে যাওয়ার মতোই এক অভিযোগ তুলে রাখি জানালেন, তার নগ্ন ভিডিও ৪৭-৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে প্রাক্তন স্বামী আদিল।
দি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সাক্ষাৎকারে রাখি দাবি করেন, ‘আমার স্বামী আদিল খান দুররানি আমাদের হানিমুন চলাকালীন আমার নগ্ন ভিডিও শুট করেছিল। একটি টবে বসে, বাথরুমে গোসল করার সময়, তার সাথে বিছানায় এবং সমস্ত কিছু ভিডিও ধারণ করেছিল। সেটি আরবের এক লোকের কাছে বিক্রি করেছে। জানি না কে সে! তবে সেই ভিডিওর জন্য ৪৭-৫০ লাখ টাকা নিয়েছে আদিল। আমার নগ্ন ভিডিও, নিজের স্ত্রীর ভিডিও বিক্রি করেছে সে।’
আদিলের দিকে অভিযোগের তীর রেখে রাখি আরো বলেন, ‘এ রকম একাধিক ফুটেজ আছে আদিলের কাছে। যেখানে আমার পুরো শরীর নগ্ন দেখা যাচ্ছে। আমি তা-ও চুপ ছিলাম। আমি ওর বউ। আর ও আমাকেই ধর্ষণ করত। ভায়াগ্রা খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলত অত্যাচার। ভয়াবহ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত সে।’
এদিকে জেল থেকে বেরিয়ে আদিলের অভিযোগ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাখিকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন আদিল জেলের বাইরে এসে। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে রাখির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন আদিল। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমায় ফাঁসানো হয়েছে। রাখি তার মায়ের মাথায় হাত রেখে বলেছিল যে সে রীতেশকে বিয়ে করেনি। আমিও তাই বিশ্বাস করেছিলাম। এদিকে নভেম্বরে রাখি আমেরিকা গিয়েছিল, আমি দুবাইয়ে ছিলাম। ও ফিরে আসার পর আমি ভয়েস নোট দেখতে পাই, যেখানে রাখি রীতেশকে বলে, ও আমায় বিয়ে করে ভুল করেছে। এরপর রীতেশের থেকেও টাকা নিত শারীরিক সম্পর্কের জন্য।’
অভিযোগে আদিল আরো বলেন, তার আর রাখির কোনো বিয়েই হয়নি। রাখি মুসলিমও হয়নি। সবটাই ভাঁওতাবাজি রাখির। এমনকি রাখি নাকি নিজের জরায়ু পর্যন্ত বাদ দিয়েছেন। কোনো দিন মা হতে পারবে না সে! তবে রাখি এরপর আদিলের অভিযোগের জবাবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রমাণ দেন তার জরায়ু একদম ঠিক আছে। ডিম্বাণুও সংরক্ষণ করা আছে, যাতে ভবিষ্যতে মা হতে সমস্যা না হয়।