বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে নির্যাতিত হচ্ছেন বাংলাদেশীরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০১ এএম, ২৮ অক্টোবর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:৩২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও অভিবাসী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ক্রোয়েশিয়া পুলিশ তাদের পিটিয়েছে।
সম্প্রতি সীমান্ত অতিক্রম করে ইইউ দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৫ জনেরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এভাবে প্রবেশ অবৈধ হলেও ইইউ আইনে কাউকে পেটানোর নিয়ম নেই।
ইইউ বহিঃসীমান্তে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেছেন কালো পোশাকের পুলিশ সদস্যরা কোনোরকম বাছবিচার ছাড়াই তাদেরকে লাঠি দিয়ে পেটায়। বিশেষ করে কেউ ক্রোয়েশিয়া প্রবেশ করার পর তাদেরকে জোর করে বসনিয়াতে ফেরত পাঠানোর সময় নির্যাতন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই নির্যাতন পরিকল্পিত বলেও দাবি তাদের।
এই দুই দেশের মধ্য রয়েছে এক হাজার কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত। ২০১৭ সাল নাগাদ ইউরোপে প্রবেশের অন্য রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীরা ইইউতে প্রবেশের জন্য ক্রোয়েশিয়া ও বসনিয়া সীমান্ত বেছে নেয়। তারা সাধারণত তুরস্ক, গ্রিস হয়ে বসনিয়াতে অবস্থান নেয় এবং সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে।
শরণার্থী ও অভিবাসীরা জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার একটি বিশেষ বাহিনী রয়েছে যারা কালো পোশাক এবং কালো মাস্ক পরে থাকে। শুধুমাত্র এই বাহিনী তাদের নির্যাতন করে বলে নির্যাতনের শিকার কয়েকজন জানিয়েছেন। ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তে নির্যাতনের ঘটনাগুলো যাচাই করছে সেদেশ।
ইইউ কি কোনো উদ্যোগ নেবে?
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এই বিষয়ে ক্রোয়েশিয়ার সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউর ইলভা ইয়োহানসন। তবে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সীমান্তে নির্যাতন বন্ধে এখন অবধি ক্রোয়েশিয়ার ওপর কোনো দৃশ্যমান চাপ প্রয়োগ করেনি ইইউ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে