লোডশেডিংয়ে সেবা বন্ধ, চায়ের দোকানে অফিস করছেন ইউপি চেয়ারম্যান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সোমবার, বিকেল ৩টা। সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মানুষের জটলা। কেউ বসে আছেন কেউবা দাঁড়িয়ে। কেউ বার বার বিরক্তি প্রকাশ করছেন। একটু এগিয়ে যেতেই কয়েকজন বলে উঠলেন, আজ আর কাজ হবে না। প্রতিদিন কি আসা যায়? সকাল থেকে বসে আছি। এই আসে এই যায়। একবার গেলে তার কোনো খবর থাকে না। এভাবে আর জীবন চলে না।
এমন কথা কার উদ্দেশ্যে বলছেন জানার কৌতুহল বেড়ে গেল। মনির হোসেন নামের একজনের কাছে জানতে চায়লে তিনি বলেন, এতদিন চেয়ারম্যান আর মেম্বারের স্বাক্ষরের জন্য যে কোনো কাজে দেরি হতো। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছি বিদ্যুতের জন্য। কয়েক দিন টানা এসেও বোনের জন্মনিবন্ধনের কাজটি শুরুই করতে পারলাম না।
বিদ্যুতের লোডশেডিং এখন জাতীয় সংকট। নির্ধারিত সময় পর পর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। লোডশেডিংয়ের সময় বন্ধ থাকে সব ধরনের সেবা। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদটিতে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো পড়েন চরম বিড়ম্বনায়। বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেই বিকল্প কোনো ব্যবস্থা। আইপিএস কিংবা জেনারেটর আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া নেই এখানে। তাই বাধ্য হয়েই ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা নিতে আসা এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
সেবা নিতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করার জন্য এসেছিলাম। এ যেন এক যুদ্ধ। তীব্র গরমে আর সেবা প্রদান বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছি। না পারছি চলে যেতে, না পারছি কাজ করাতে।
লিপি আক্তার বলেন, সংসারের কাজ রেখে সকালেই চলে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম দুপুরের মধ্যে চলে যাবো। কিন্তু বিদ্যুতের কারণে কাজ করতে পারছি না। শিল্পাঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদে এখনো আইপিএস কিংবা জেনারেটর নেই। এটা ভাবাই যায় না। গরমে অসহ্য হয়ে চেয়ারম্যান স্বয়ং গাছতলায় চায়ের দোকানে অফিস করছেন।
লিপির কথা মতো পরিষদ থেকে বের হয়েই পাশের ছোট্ট চায়ের দোকানে দেখা মিললো শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজের। তিনি কিছু দাপ্তরিক কাজ সারছেন চায়ের দোকানে বসেই। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, গরমে ভেতরে টেকা যায় না। আইপিএস কিংবা জেনারেটরের কথা বলতেই তিনি বলেন, এখনও ভবনই হয়নি। একটি ছোট টিনশেড ঘরে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ভবন আধুনিক হলে সবই আধুনিক হয়ে যাবে।