বাস থেকে ফেলে শিশুকে হত্যা, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৪ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাইদা পরিবহণের একটি চলন্ত বাস থেকে শিশু মরিয়ম আক্তারকে (১০) ফেলে হত্যার ঘটনায় চালক রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ ক্লু-লেস ছিল। ৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন সে সাহায্য চাইতে বাসটিতে উঠেছিল। হেলপার এ সময় তাকে ‘গেটলক বাস’ বলে বাস থেকে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মরিয়মের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকালে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীত পাশের রাস্তায় উত্তরাগামী রাইদা পরিবহণের বাস থেকে মরিয়মকে ফেলে দেয়। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রনি মিয়া অজ্ঞাতপরিচয় চালককে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মরিয়ম তার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেতের কুড়াতলী এলাকায় বসবাস করত। তার বাবা রনি একজন প্রাইভেটকারচালক। মরিয়ম ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তবে, অর্থের অভাবে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার দিন সকালে মরিয়ম বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় পথচারী ও বাস যাত্রীদের কাছে ঘুরে ঘুরে সাহায্য চাচ্ছিল। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ অনুযায়ী দেখা গেছে, মরিয়ম হেঁটে হেঁটে ফুটওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করে যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীত পাশে আসে। এরপর সে রাইদা সিটিং সার্ভিসের একটি বাসে ওঠে। বাসটি সামনে যেতেই একজন পথচারীকে হাত দিয়ে ইশারা করতে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরার এক ফ্রেমের ঠিক পেছনে ভিকটিম মরিয়মকে আহতাবস্থায় পাওয়া যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার অবস্থান এবং সময় বিবেচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, এখানেই মৃত্যু হয় শিশু মরিয়মের।