রাজারবাগ পীরের সম্পদের তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রাজারবাগ পীরের সম্পদের তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজারবাগ দরবার শরিফের পির ও তার ম্যানেজারের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তলব চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে পিরের ও তার ম্যানেজারের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিট আবেদনে দরবার শরিফের পির ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পিরের মুরিদদের দায়েরকৃত মামলায় হয়রানির শিকার আট ব্যক্তি এই রিট দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে করা মামলার বিষয়ে একটি তদন্ত চাওয়া হয়েছে। আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিসহ ২০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে (এলআরএফ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, তাদের জায়গা-জমি দখলের জন্যই একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। যেসব মামলায় তাদের স্বজনদের কেউ কেউ কয়েক বছর ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। এ সময় রিটকারীগণের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর জেলে বন্দি রয়েছেন অনেক নিরীহ মানুষ। এদের কেউ কেউ মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্তি পাবেন, ঠিক তখনই তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে আরেকটি মামলা। আমরা এসব মামলার বিষয়ে তদন্ত চেয়েছি।
প্রসঙ্গত সম্পত্তি হস্তান্তর না করায় রাজারবাগ দরবার শরিফের পির দিল্লুর রহমান ও তার অনুসারীদের সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয় একরামুল আহসান কাঞ্চনের। এই শত্রুতার কারণেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি হয়রানিমূলক মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। এসব মামলা দায়েরের পেছনে দরবার শরিফের পির ও তার উল্লিখিত অনুসারীগণ তাদের অশুভ স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় সিআইডি।
পুলিশের এই বিশেষ তদন্ত সংস্থার করা তদন্ত প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ২৩টি জিআর (থানায়) এবং ২৬টি সিআর (আদালত) মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি জিআর এবং ২০টি সিআর মামলা হতে আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে আটটি জিআর এবং ছয়টি সিআর মামলা। সংবাদ সম্মেলনে একরামুল আহসান কাঞ্চনও উপস্থিত ছিলেন।