মুদি দোকানির সিম কিনে জীবন পাল্টে গেলো
মুদি দোকানির সিম কিনে জীবন পাল্টে গেলো
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মোবাইল ফোনের একটি সিম কিনেই জীবন পাল্টে গেলো এক মুদি দোকানির। সেই নাম্বার চালুর পরই মোবাইলে পাসপোর্ট তৈরি, ভেরিফিকেশনসহ নানা তদবিরের লোভনীয় প্রস্তাব পেতে থাকেন। তিনিও বুঝতে পারেন, নাম্বারটি ব্যবহার করতেন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক সাইদুর রহমান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকের সাথে প্রতারণা করে ইউসুফ ও তার সহযোগী কামিয়েছেন বিপুল অর্থ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়লেন গোয়েন্দার হাতে।
পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। কিন্তু তার মোবাইলে ফোন আসলেই পরিচয় দেন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক সাইদুর রহমানের। সমাধান করতে পারেন পাসপোর্ট সংক্রান্ত নানান সমস্যার।
ঘটনাটি জামালপুরের। ২০০৯ সালে ইউসুফ নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে গ্রামীণফোনের একটি সিম কেনেন। এরপরই তার নাম্বারে পাসপোর্টের নানা সমস্যার সমাধানের জন্য একে একে ফোন আসতে শুরু করে। কিছুদিন পর বুঝতে পারেন এই নাম্বারটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের। করপোরেট সিমটি টানা দুই বছর ব্যবহার না করায়, বিক্রি করে দেয় গ্রামীণফোন। যা কিনেছিলেন ইউসুফ।
এভাবেই নানা তদবিরের প্রস্তাবে লোভে পড়েন ইউসুফ। সাথে নেন বন্ধু বিপুলকে। দুজন মিলে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ গুলশান বিভাগ। পরে রাজধানীর উত্তরা ও জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে আটক করা হয় দুজনকে। এসব তথ্য জানিয়ছেন গুলশান থানার উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারিদের প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের পরামর্শ, সিম ব্যবহার না করলে সেটি বিক্রি না করতে সিম অপারেটরদের আগেভাগেই জানিয়ে রাখা উচিত। না হলে, সেই সিমগুলো বাজারে যাবার পর অপকর্ম করার সুযোগ থেকে যায় প্রতারকদের, জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ