কারো মুখেই হাসি নেই, আছে রাগ ক্ষোভ আর বিষন্নতার ছাপ...
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গার্মেন্টস থেকে ফোন পেয়ে লালমনিরহাট থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা দেন ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরীর একটি রফতানিমুখী গার্মেন্টসের শ্রমিক রিনা বেগম। শনিবার বিকেলে রওনা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে এসে পৌঁছান রোববার ভোর রাতে। সকাল ৯টার মধ্যে তাকে কাজ যোগদান বাধ্যতামুলক করে কর্তৃপক্ষ।
বিসিক ৩নং গেটে কথা হয় রিনার সাথে। বলেন,কষ্ট আর অবর্ণনীয় দুর্ভোগের বিষয়ে কথা বলে শেষ করা যাবে না। ভেবেছিলাম ৫ আগষ্ট গার্মেন্টস খুলবে, তাই একটু নিশ্চিন্ত ছিলাম। হঠাৎ করে শনিবার সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন রোববার কাজে যোগদান করাই লাগবে। কী আর করা। কিছু পথ হেঁটে, কিছু পথ ভ্যানে করে, বাকী পথ একটি মালবাহী ট্রাকে করে নারায়ণগঞ্জে এসেছি। আমার মতো আরো ২০/২৫ জন ছিল সবাই একসাথে আসি।
রিনার মতো হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় বিপাকে পড়ে। পেটের দায়ে সব কষ্ট হজম করে কাজে যোগ দেন তারা।
সরেজমিনে বিসিক শিল্পনগরীতে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত শত শত শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরছে। এদের কারো মুখেই হাসি নেই। রয়েছে রাগ ক্ষোভ আর বিষন্নতার ছাপ।
গার্মেন্টস শ্রমিক আকলিমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের শ্রম আর ঘামে গার্মেন্টস চলে। অথচ মালিকরা আমাদের মানুষ মনে করে না। যে কষ্ট করে মাদারীপুর থেকে এসেছি এটা বলতে গেলে আরো কষ্ট বাড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক ছাড়াও আদমজী ইপিজেড, কাঁচপুর শিল্পনগরী, রুপগঞ্জসহ বিভিন্ন শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে।
শিবুমার্কেট এলাকায় কথা হয় গার্মেন্টসের একজন কর্মকর্তার সাথে। অমল সেন নামের ওই কর্মকর্তা জানান, এরকম পরিস্থিতি মালিকরা তৈরি না করলেও পারতেন। ১ আগষ্ট গার্মেন্টস খুলে দিবে- এটা আগে জানালে মানুষ এত হয়রানি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হতো। করোনার ভয় অনেক আগেই চলে গেছে এখন ভয় চাকরি হারানোর।