কোটি টাকায় জিম খুলে এখন ঋণ করছেন মালিকরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রায় তিন হাজার জিম বা ব্যায়ামাগারের মালিকদের দুর্দিন যাচ্ছে। অনেকে কোটি টাকা দিয়ে জিম খুলেও ব্যবসা করতে পারছেন না। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে গত দেড় বছর ধরেই তাদের এ অবস্থা। শারীরিক গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম একটি ভালো পন্থা হলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্ত্রণালয়ের মনোযোগ নেই। সরকার অন্যান্য সেক্টরে প্রণোদনা দিলেও জিমের মালিকরা তা পাননি।
অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ যদি নিয়মিত ব্যায়াম করার সুযোগ পান তাহলে অনেক কম অসুস্থ হবেন। এতে করে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয়ও কমে যাবে।
এখন সাধারণ মানের একটি জিম দিতে গেলে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা ছাড়া হয় না। আর ভালো মানের জিম দিলে ৭৫ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লাগে। কিছুদিন আগে বাড্ডায় এক কোটি টাকা দিয়ে একটা জিম খোলা হয়েছে। এই করোনার সময় এক কোটি টাকা ইনভেস্ট করে কীভাবে লাভ হবে আমার মাথায় আসে না
ব্যায়ামের উপকারিতা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম জাগো নিউজকে বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমরা যে জীবন যাপন করছি, তা সবার মধ্যে স্ট্রেস (মানসিক চাপ) তৈরি করে। এই স্ট্রেসের কারণে আমাদের শরীরের হরমোন স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। হরমোনাল অনেক পরিবর্তন এসে যায়। এতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্যায়াম করলে হরমোনাল ইমব্যালান্স অনেকটাই নরমাল হয়ে ফিরে আসে। এতে আমাদের স্ট্রেস কমে যায়। এটা হলো ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় উপহার। এছাড়া ব্যায়াম করলে শারীরিকভাবে ফিট থাকা যায়, রোগ-বালাইও কম হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকে ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু করোনার ভয়ে আবার জিমেও যেতে পারছেন না। ব্যায়ামের সরঞ্জামাদি কিনে যে বাসাতেই জিম করবেন তাও পারছেন না। কারণ চীন থেকে আসা এসব সরঞ্জাম বাংলাদেশে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে করোনার কারণে শুরুতে বেশ কয়েক মাস জিম বন্ধ রাখা হয়। এখন নানা বিধিনিষেধ মেনে জিম চালু রাখা হচ্ছে। আগের মতো অনেকে একসঙ্গে জিম করতে পারছেন না। এছাড়া জিমের মালিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনা থেকে শুরু করে করোনারোধে নানা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। কম সংখ্যক সদস্য জিমে এলেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে মালিকদের।
অন্যদিকে ব্যায়ামের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন, এ নিয়ে দুই পক্ষের বিপরীতমুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ব্যায়ামাগার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও জানেন না এটা আসলে কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন।