বিজয় দিবসের আনন্দ নেই শাহবাগের ফুল বিক্রেতাদের মনে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৫৪ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:৪৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে রাজধানীর শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীদের মনে আনন্দ নেই। গত মার্চ মাস থেকে ফুলের ব্যবসা অব্যাহতভাবে খারাপ যাচ্ছে। বিজয় দিবসকে (১৬ ডিসেম্বর) সামনে রেখে ফুল বিক্রি ভালো হবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, অন্যান্য বছর ১৫ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে যেত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ আগাম ফুলের (রিঙ ও তোড়া) অর্ডার দিতে শাহবাগে ছুটে আসতেন। প্রতিটি ফুলের দোকানের ক্রেতাদের ভিড় থাকতো চোখে পড়ার মতো।
এ সময় অসংখ্য কর্মচারীকে ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটাতে হতো। দোকানে অসংখ্য ক্রেতার আগমনে দম ফেলার ফুসরত পেতেন না তারা। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগের ফুল মার্কেটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ফুলের দোকানে কর্মচারীরা নিরস বদনে দাঁড়িয়ে আছেন। কাউকে দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখলেই ফুল লাগবে কি-না জিজ্ঞাসা করছেন তারা। বেশ কয়েকটি দোকানের সামনে ককশিট দিয়ে রিঙ (গোল বৃত্তকার) বানিয়ে রাখতে দেখা যায়। এ প্রতিবেদক আধঘণ্টা সেখানে অবস্থানকালে কোনো ক্রেতাকে ফুলের তোড়ন কিনতে দেখেননি।
শাহবাগের ফুল দোকানের কর্মচারী কোরবানের কাছে এবার বিজয় দিবসে ব্যবসা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবারের বেচাকেনা খুবই খারাপ।’
কারণ জানতে চাইলে কোরবান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) স্মৃতিসৌধে যাবেন না, মানা করে দিছেন, এজন্য বেচাকেনা একদমই নাই। তিনি স্মৃতিসৌধে গেলে ভরপুর বেচাকেনা হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য বছর আগে থেকেই ফুলের অর্ডার আসতো কিন্তু এবার কোনো অর্ডার পাই নাই। অন্যান্য বছর অন্তত ১০০ রিঙ বিক্রি হলেও আজ সারাদিনে মাত্র দুটি ফুলের রিঙ বিক্রি হয়েছে।’
সেলিম নামে আরেক ফুল বিক্রেতা জানান, করোনার কারণে এবার সরকারি প্রোগ্রাম কম হবে এমন ঘোষণায় তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তা না হলে বেচাকেনা বেশ ভালো হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন না। তাদের পক্ষে সামরিক সচিবরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালনে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে কপাল পুড়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের।