ক্রাচে ভর দিয়ে প্রাথমিক-মাধ্যমিক শেষে এখন কলেজে হাবিব উল্লাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ অক্টোবর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪২ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খড়ের গাঁদা থেকে পড়ে মাথার টিউমার ফেটে যায়। সে টিউমার অপারেশনের পর বাম হাত ও বাম পা প্যারালাইজড হয় হাবিব উল্লাহর। এরপর থেকেই ক্রাচে ভর করেই তার পথ চলা। পড়াশোনা বন্ধ করেনি সে। নিয়মিত ছাত্র হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে এখন ক্রাচে ভর করেই কলেজে পড়াশোনা করছে হাবিব উল্লাহ (১৭)।
প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় খড়ের গাঁদা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় মনোহরদীর হেতিমদী গ্রামের হাবিব উল্লাহ। চিকিৎসায় মাথায় টিউমার ধরা পড়ে। খড়ের গাঁদা থেকে পড়ে সে টিউমার ফেটে যায়। এজন্য মাথায় অপারেশন করতে হয় তার। এর পর থেকে বাম হাত ও বাম পা প্যারালাইজড হয়ে যায় হাবিব উল্লাহর। সে জানায়, এসবের চিকিৎসায় ১৪/১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার পরিবারের। তথাপি চিকিৎসকের মত, হাত-পা আর ভালো হওয়ার নয় হাবিব উল্লাহর।
ফলে শয্যাশায়ী জীবন শুরু হয় তার, তথাপি পড়াশোনা বন্ধ করেনি সে। চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর ক্রাচ নির্ভর জীবন শুরু করে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোয় হাবিব উল্লাহ। অতঃপর এসএসসিও পাশ করে সে একইভাবে। ৪ বোনের ১ ভাই হাবিব উল্লাহ। মনোহরদী সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র এখন সে। অসুস্থতার জন্য অন্যদের মতো পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে চড়ে কলেজে যেতে পারে না হাবিব উল্লাহ। সিএনজি অথবা ইজিবাইকে চড়ে যাতায়াত করতে হয় তাকে। এর জন্য বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। নিম্নমধ্যবিত্ত পিতৃহীন পরিবারের সদস্য হিসেবে সেটুকুও অনেক তার পক্ষে। তবে স্বস্তি, একজন প্রতিবন্ধী ছাত্র হিসেবে কলেজ তার ওপর কোন খরচ চাপাচ্ছে না।
মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, তার বেতন মওকুফ। অন্যান্য ফিও যদি পারে সে দেবে, না হলে দেবে না। এ ছাড়াও পড়াশোনার স্বার্থে কলেজের পক্ষ থেকে যতরকম সহযোগিতা তার প্রয়োজন সবই দেয়া হবে তাকে।