ফেসবুকে জাল বিছিয়েছে জাল টাকার চক্র, গ্রেপ্তার ২
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৫ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীতে এখনও জাল বিছিয়ে রয়েছে জাল টাকার চক্র। অবস্থান নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাদ যায়নি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ ও টেলিগ্রাম। ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে খোঁজ চলে জাল টাকার ক্রেতা। যদিও প্রচার-প্রচারণা ও বিক্রিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে এই জাল টাকাকে ডাকা হয় প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট নামে। প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি বা মধ্যসত্ত্বার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার কাছে যায় এগুলো। এরপর ক্রেতা জুটে গেলে প্রথমে সরাসরি, বিশ্বস্ততা বেড়ে গেলে কুরিয়ারেও পৌঁছানো হয় জাল টাকা। এমন একটি গ্রুপের দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—আল আমিন ও কাশেম আলী। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৮২ হাজার জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ানের শান্তিপুর এলাকার একটি বাসার ছাদে কয়েকজন লোক জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় করছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাল টাকা বিক্রির কৌশল সম্পর্কে হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, “তাদের এ সাপ্লাই চেইন কয়েকটি ধাপে কাজ করত। প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি বা মধ্যসত্ত্বার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছায়। প্রথম দিকে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি ‘প্রোডাক্ট’ গ্রহণ করলেও বিশ্বস্ততা বাড়লে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিলি করত।”
হায়াতুল ইসলাম খান আরও বলেন, “পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করত গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। কারণ, ছোট নোটের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। হাতেনাতে ধরা পড়া এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করত। ঈদুল ফিতরের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে জাল টাকা প্রিন্ট দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা করা হয়েছে।”