avertisements 2

রানি আমাকে না দেখলে বলতেন ‘হাসিনা কোথায় ছিলেন’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

‘তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম যে, তিনি (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ) সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই আমরা সবাই, পুরো পরিবার, দূরবীন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে আমরা তাকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।’

প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যে সাক্ষাৎকারটি নেন বিবিসির সাংবাদিক লরা কুনেসবার্গ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সুন্দর স্মৃতি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানির চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল। তিনি আমাকে না দেখলে বলতেন ‘হাসিনা কোথায় ছিলেন’।

প্রথমবার রানিকে দেখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তখন ১৯৬১ সাল। রানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তখনই ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার রানিকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে রানির সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রায় সাতটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রতিবারই রানির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের একজন রানি ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তিনি কমনওয়েলথেরও একজন নেতা। কমনওয়েলথ দেশগুলোর একজন সদস্য হিসেবে আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি তিনি কেবল একজন রানিই ছিলেন না, একজন অত্যন্ত স্নেহময়ী এবং মাতৃত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন। যখনই আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি, আমি এটি অনুভব করেছি। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। জীবনের ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন।

রানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে লন্ডনে প্যালেস অব ওয়েস্টমিনিস্টারে রানির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2