ঝরনা ছেড়ে গোসল নয়, বালতি-মগ কিনুন : প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৮ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ যেন সীমিত আকারে ব্যবহার হয়, যেটুকু লাগবে সেটুকু, না হলে সুইচড অফ করে দিতে হবে। পানি ব্যবহার, সেখানেও মিতব্যয়ী হতে হবে। ওই কল ছেড়ে রেখে, ঝরনা ছেড়ে রেখে গোসল করা চলবে না। সবাইকে বালতি কিনে মগে করে পানি ব্যবহার করতে হবে। এক ফোঁটা পানি যেন অপচয় না হয়। পানির জন্য হাহাকার, উন্নত দেশগুলোতে হাহাকার।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাশয়ে পানি সংকটের খবরের মধ্যে এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পানি ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে বলেছেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ যেন সীমিত আকারে ব্যবহার হয়, যেটুকু লাগবে সেটুকু, না হলে সুইচড অফ করে দিতে হবে। পানি ব্যবহার, সেখানেও মিতব্যয়ী হতে হবে। ওই কল ছেড়ে রেখে, ঝরনা ছেড়ে রেখে গোসল করা চলবে না। ‘সবাইকে বালতি কিনে মগে করে পানি ব্যবহার করতে হবে। এক ফোঁটা পানি যেন অপচয় না হয়। পানির জন্য হাহাকার, উন্নত দেশগুলোতে হাহাকার।’
কদিন ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার খবর আসছে গণমাধ্যমে। এ অবস্থায় পানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে রয়েছে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে এ কেন্দ্রেও সম্প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে আসার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঢাকায় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ বা ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
আলোচনা সভায় জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘অহেতুক ঘোরাঘুরি করার দরকার নেই। হাঁটলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।’ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। ওদের অবস্থায় যেন আমাদের পড়তে না হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে, পয়সা দিয়েও খাবার কেনা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের খাবার নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। ছাত্রলীগ ধান কাটায় যেমন সাহায্য করেছে, ধান রোপণেও সাহায্য করবে।’