‘সরকারি কর্মচারিদের গ্রেফতারে আর পূর্বানুমতি লাগবে না’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকারি কর্মচারিদের যে কোনো কারণে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে এখন থেকে আর পূর্বানুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে বহাল থাকা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট দাখিল ও গ্রেফতারে সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে জারি করা রুলের এর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রুলটির শুনানি শেষে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্টের বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান দুলু, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে হলে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে—সরকারি চাকরি আইনের এমন বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে ফৌজদারি মামলা থাকা কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন না করতে যথাযথ নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ও ৩ ধারার বৈধতা নিয়ে কুড়িগ্রামের স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিটটি করেন। ৩ ধারায় আইনের প্রাধান্য বিষয়ে এবং ৪১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি সম্পর্কে বলা আছে।
আইনের ৪১ (১) ধারা বলছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান বলেন, ফৌজদারি মামলাটি তদন্তাধীন। তবে সুলতানা পারভীনসহ অন্যরা জামিন নেননি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে অনুমতি লাগবে। এমনকি এস এম রাহাতুল ইসলামকে ইতোমধ্যে বরিশালে পদায়ন করা হয়। এ অবস্থায় আইনের ৩ ও ৪১ (১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পদায়ন ও অন্যদের পদায়ন না করতে ওই রিটটি করা হয়।