রেমিট্যান্স অর্থনীতির চালিকাশক্তি
হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা আসে, সেটি কালো টাকা: অর্থমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এখনো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আসে বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কাছেও তথ্য আছে এখনো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা-পয়সা আসে। যেন কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছে। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হুন্ডিতে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সবসময় প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে বলেন। এগুলো তাদের টাকা, পরে তারা যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে তারা টাকা কোথায় পেলো।
কি পরিমাণ হুন্ডিতে টাকা আসে সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কি-না জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারনা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে। আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। প্রবাসীদের শুধু প্রণোদনা নয় স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো আপনাদের কাছে সম্পর্কিত, অন্যরকম আইএমএফ আছে কি-না জানি না। একটা আইএমএফ আছে তারা তো এ ধরনের কোনো প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন, এটা নিয়ে আমি জবাব দেব না। এটা কেন আপনারা বলছেন আমি জানি না।